নিয়ন্ত্রনহীন ডেংগু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ করে তোলায় পিছিয়ে নেই আদ-দ্বীন হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও, পরিশ্রম করে চলেছেন অবিরাম।
রাজধানীসহ অন্যান্য জায়গাগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে এবং ৬ মাসের রেকর্ড ছাড়িয়েছে জুলাই মাসে, যা অতীতের সব রেকর্ডকেও ভঙ্গ করেছে।
প্রতিদিন হাসপাতালে সংখ্যা বেড়েই চলেছে রোগী এবং তার স্বজন দের। এবং তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে তৎপর আদ-দ্বীন হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সেরা।
বিপুল সংখ্যক রোগীর আগমনে হিমশিম খাচ্ছেন তারাও।
ঢাকা সহ আশেপাশের অঞ্চল থেকে আগত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে এই হাসপাতালে। বিস্তারিত জানার জন্য প্লাটফর্মের প্রতিনিধি হিসেবে কথা বলেছিলাম সেখানকার মেডিসিন বিভাগে দায়িত্বরত ডা. আফসানা জেবিন প্রিয়াঙ্কার সাথে। তিনি জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং আসন সংখ্যা অপর্যাপ্ত হয়ে পড়েছে। ফলে, অনেক রোগীকেই জায়গা দিতে হয়েছে হাসপাতালের ওয়ার্ডের বাইরের ফ্লোরেও। তিনি আরও জানিয়েছেন,গত জুলাই মাসে এখানে ভর্তিরত রোগীর সংখ্যা ২০০ জন । যাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৬৫ জন, এই পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩ জন। এখানে ডেঙ্গু রোগীর আধিক্য সহজেই চোখে পড়ে এখানকার মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোতে।
আসন সংখ্যা অপর্যাপ্ত হওয়ার কারণে সব রোগীকে ভর্তি করতে পারছেন না তারা। ডেঙ্গু নিয়ে আসলে প্রথমে তারা সবাইকেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে বলেন এবং শুধুমাত্র জ্বর থাকলে তারা রোগীদের পরামর্শ দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। আর যদি জ্বরের সাথে অন্যান্য ক্ষতিকর উপসর্গ গুলো থাকে তাহলেই তারা তাদের ভর্তি করেন। ভর্তিরত রোগীদের সুচিকিৎসা দেয়ার জন্য তাদের মশারি প্রদান এবং প্রতিদিন ডেঙ্গুর পরীক্ষাগুলোও করা হচ্ছে যথাযথ মূল্যে।
শুধু চিকিৎসা দিয়েই থেমে নেই আদ-দ্বীন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা । গত ৫ই আগষ্ট সেখানকার ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, চিকিৎসক ও কর্মরত স্টাফদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও ডেঙ্গুর আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে আদ-দ্বীন হাসপাতালের লেকচার গ্যালারীতে। যার মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রিচমন রোনাল্ড গোমেজ। এবং গত ৮ই আগস্ট ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. আশরাফুজ্জামান এবং ডা.সাত্তার এর সহযোগীতায় আদ-দ্বীন হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে প্রেস ক্লাব অবধি বের করা হয় র্যালী। পাশাপাশি র্যালী তে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি ও চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে তাদের ওয়াকিবহল করার জন্যে বিলি করা হয়
লিফলেট।
এভাবেই ডেঙ্গুর এই মহামারি মোকাবেলায় প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন ডাক্তার সমাজ। কিন্ত এই মহামারি থামাতে শুধু চিকিৎসক নয়, চেষ্টা করতে হবে সবাইকে,সচেতন হতে হবে সবাইকে। কেননা
চিকিৎসক করতে পারেন প্রতিকার কিন্তু প্রতিরোধের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে আমাদেরকেই।
” Stop Dengue
Stop Mosquitos from Breeding
keep your environment clean
& say hello to a healthy city”
ফিচার রাইটারঃ সুরাইয়া আক্তার আশা।
সহায়কঃ ডা. আফসানা জেবিন প্রিয়াঙ্কা, ওমাইমা মারিয়া, মোশাররাত রহমান মৌ।