৩ জানুয়ারি , ২০২০
ডাক্তার মানেই শুধু সকাল থেকে রাত অবধি হাসপাতাল চেম্বার করবে এমন টা নয়।মানুষের সেবায় নিয়োজিত ডাক্তাররা সাহিত্য,রাজনীতি,অভিনয়,প্রযুক্তি সহ নানা শাখায় নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন।সে রকম কয়েক জন মানুষের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম মাত্র।
★ডাঃমেহেদী হাসানঃ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ছাত্র মেহেদী হাসানের হাত ধরে অভ্র কিবোর্ড ২০০৩ সালে প্রথম যাত্রা শুরু করে। অভ্র ফনেটিকই সর্বপ্রথম বাংলাদেশে বাংলা ইউনিকোড নিয়ে আসে।চাইলেই তিনি অভ্রের মাধ্যমে প্রচুর আয় করতে পারতেন কিন্তু তিনি তার সফটওয়্যারকে পুরোপুরি ফ্রি করে দেন।অভ্রের স্লোগান” ভাষা হোক সকলের জন্য উন্মুক্ত”। ফ্রি সফটওয়্যার হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার সকল মন্ত্রণালয়ে বাংলা লিখতে অভ্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন।আইটি (তথ্য প্রযুক্তিতে) সেক্টরে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১১ সালে বাংলাদেশ কম্পিউটার এ্যাসোসিয়েশন এবং ইনফরমেশন সার্ভিসেস ডাঃ মেহেদী হাসানকে বিশেষ পুরষ্কার প্রদান করে।
★ডাঃএজাজুল ইসলামঃ
এজাজুল ইসলাম একজন বাংলাদেশী নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি মূলত একজন ডাক্তার। জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মাধ্যমে তার নাটকে আগমন। পরবর্তীতে তিনি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র শ্রাবণ মেঘের দিন। এর পর তিনি দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, শ্যামল ছায়া চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি তারকাঁটা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ৩৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত হন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন।
★ডাঃদিপু মনি
ডা. দিপু মনি ৮ ডিসেম্বর, ১৯৬৫ সালে জন্মগ্রহন করেন। যিনি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি নিয়োগ পান। বর্তমানে তিনি শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সামাজিক উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক ক্ষেত্রে তাঁর অনন্য অবদানের জন্য তিনি মাদার তেরেসা আন্তর্জাতিক পুরষ্কারে ভূষিত হন।
★ডাঃলোটে শেরিংঃ-
লোটে শেরিং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ২৮তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। বাংলাদেশ থেকেই এমবিবিএস ও এফসিপিএস পাস করে দেশে ফিরে রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। ২০১৩ সালে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়া ডিএনটিকে জনগণের কাছে জনপ্রিয় করতে তার ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য।বর্তমান ভূটানের প্রধানমন্ত্রী তিনি।
★ডাঃমাহাতির বিন মোহাম্মাদঃ
পুরো বিশ্বের কাছে এক পরিচিত নাম ডা. মাহাথির বিন মোহাম্মদ। একজন রাষ্ট্র নায়ক কেমন হওয়া উচিত তা তার কাছ থেকে শেখার আছে।
১৯২৫ সালের ১০ জুলাই মালয়ে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কেদাহ অঞ্চলের সেতার নামক গ্রামে সাধারণ এক স্কুল শিক্ষকের ঘরে জন্ম তার।
১৯৪৭ তিনি যখন সিঙ্গাপুরের কিং অ্যাডওয়ার্ড সেভেন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন তিনি।
এমবিবিএস পাসের পর মালয়েশিয়ার সরকারি চাকুরিতে যোগদান করেন মাহাথির। পরবর্তীতে নিজেই এক প্রাইভেট ক্লিনিক দিয়ে চিকিৎসাহ সেবা চালিয়ে যান।
চিকিৎসক হিসেবে কাজ করার মধ্যে দিয়েই সাধারণ মানুষের খুব আসার সুযোগ পান মাহাথির। সেই সাথে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন তিনি।এরপর দেশের মানুষকে সেবা করার জন্য রাজনিতীতে জড়িয়ে পড়েন তিনি।প্রধানমন্ত্রী হয়েও তিনি সাধারন জীবনযাপন করতেন।আধুনিক মালয়শিয়ার রুপকার বলা হয় তাকে।
★ডাঃচে গুয়েভারা
চে ছিলেন একজন আর্জেন্টিনীয় মার্কসবাদী, বিপ্লবী, চিকিত্সক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, গেরিলা নেতা, কূটনীতিবিদ, সামরিক তত্ত্ববিদ এবং কিউবার বিপ্লবের প্রধান ব্যক্তিত্ব। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল এর্নেস্তো গেভারা দে লা সের্না। মৃত্যুর পর তাঁর শৈল্পিক মুখচিত্রটি একটি সর্বজনীন প্রতিসাংস্কৃতিক প্রতীক এবং এক জনপ্রিয় সংস্কৃতির বিশ্বপ্রতীকে পরিণত হয়।
তথ্যসূত্রেঃইন্টারনেট
স্টাফ রিপোর্টার
নাহিদ নিয়াজ