কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে সোমবার রাতে দুর্বত্তরা হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ও চিকিৎসা সরঞ্জাম ভাংচুর করেছে। এ সময় তাদের হামলায় দুই ডাক্তারসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এম ও) ডা. মনিরুল ইসলাম চৌধুরী বাদি হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। হামলার প্রতিবাদে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্সসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন শেষে দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল করে।
ঘটনাঃ
অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জন ব্যক্তি সোমববার রাত সাড়ে ১০ টায় উপজেলা সদরের গোমারবাড়ি গ্রামের সড়ক দুর্ঘটনায় আহত শামীম নামের এক রোগীকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসে। সেখানে কর্মরত ডাক্তার আহত শামীমকে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়। তখন রোগীর আত্মীয় স্বজনরা হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স দেয়ার দাবি করলে এ্যাম্বুলেন্সটি বিগত ২/৩ মাস ধরে নষ্ট রয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়। ডাক্তারের পরামর্শ মতে তারা অন্য একটি গাড়ি ব্যবস্থা করেন। গাড়িতে রোগী তোলার সময় হঠাৎ দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগে হামলা চালানো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এম ও) ডা. মনিরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, দুর্বত্তদের হামলায় জরুরী বিভাগে কর্মরত ডা. শওকত মাহমুদ ও মেজবাহ উদ্দিন, হারবাল এসিষ্ট্রেন্ট শ্রীবাস চন্দ্র সরকার এবং প্রহরী মাসুদ উদ্দিন আহত হয়েছেন। ডাক্তার ও কর্মচারীর উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবী ও ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালে কর্মরত সকল ডাক্তার, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন বিশেষ অনুরোধের প্রেক্ষিতে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ চালু রাখা হয়েছে।