এবার জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকের উপর হামলা চালালো স্থানীয় প্রভাবশালীরা । ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপপ্লেক্সে রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরার ছয় ঘন্টা পর জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসককে কেন রোগীর পেটে হাত দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে জানতে চাওয়া হয় এবং চিকিৎসককে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাইরে নিয়ে গিয়ে লাঞ্চনার চেষ্টা করা হয় । উল্লেখ্য যে, একজন মহিলা এটেন্ডেন্ট এর উপস্থিতিতে তলপেটে ব্যথা নিয়ে আসা মহিলা রোগীকে পরীক্ষা করে চিকিৎসা দেয়া হয় ।
ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষ সকল মানুষকে সমভাবে চিকিৎসা করার শপথ নিয়েই একজন চিকিৎসক চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত থাকেন । সেখানে সর্বজন স্বীকৃত উপায়ে মহিলা এটেন্ডেন্টের উপস্থিতিতে পরীক্ষা করার পরেও এবং রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি যাওয়ার দীর্ঘক্ষণ পর স্থানীয় সন্ত্রাসীদের এ হেন আচরণ আবারো দেশে চিকিৎসকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তার অমীমাংসিত প্রশ্ন সামনে নিয়ে এসেছে । কর্তব্যরত চিকিৎসকের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বার বার বলতে থাকেন, “আমরা কী তাহলে এখন প্রচলিত মান সম্মত পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই চিকিৎসা সেবা দেব?” উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অন্যান্য চিকিৎসকদের মতই তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করে যান ।
এর আগে গত বুধবার চট্টগ্রামে ক্লিনিকে রোগীর মৃত্যকে কেন্দ্র করে কর্তব্যরত চিকিৎসককে অপহরণ করে মারধোরের ঘটনা ঘটেছে । দেশের আনাচে কানাচে প্রতিনিয়ত এ ধরণের ঘটনা ঘটে চলেছে যা গণমাধ্যমেও আসছে। এ সকল ঘটনার অধিকতর কারণ অনুসন্ধান , সুষ্ঠু বিচারে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি চিকিৎসা পেশার সাথে জড়িত সকলের স্বার্থে এবং অবশ্যই দেশের সকল সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার উৎকর্ষতার জন্যে ।