রোগীর মৃত্যু কেন্দ্র করে আজ শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের উপর হামলা চালানো হয়। সকাল ৬ঃ৫৫ মিনিট ঠেকে ৭ঃ৩০ মিনিট পর্যন্ত এ হামলায় দু’জন ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং একজন নার্স আহত হন। এসময় হাসপাতাল ভাংচুর, বাঁধা দিতে আসা অন্যান্য রোগী এবং তাঁদের এটেন্ডেন্টকেও মারধোর, আশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করা হয়। এ ঘটনায় আনুমানিক কয়েক লক্ষ টাকার সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট হয় এবং আহত চিকিৎসক এবং নার্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় একটি ক্লিনিকে সিজার অপারেশন পরবর্তী প্রচুর রক্তক্ষরণজনিত জটিলতা নিয়ে রীনা বেগম নামে একজন গৃহবধু গত ৬ অক্টোবর শেরে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টার পরেও পরবর্তীতে রোগীর হার্ট ফেইলরের কারণে আজ সকালে মৃত্যু বরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের উপর রোগীর আত্মীয় স্বজন চড়াও হয়। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, সরকারি কাজে বাঁধা দান, ভাংচুর, চিকিৎসক এবং সেবিকার উপর মারধোর সহ মোট ৪টি অপরাধে তিন জনকে আসামী করে হাসপাতালের পরিচালক মহোদয় বাদী হয়ে মামলা করেছেন এবং এ পর্যন্ত ৪ জন কে পুলিশ আটক করেছে।
এর আগে ইন্টার্ন চিকিৎসকগণ সম্মিলিত ভাবে প্রতিবাদ করে, প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা অতি জরুরী চিকিৎসা সেবা ব্যতীত সকল ধরনের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ থাকে। হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকগণেরা ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নানা দাবীর সাথে ঐক্যমত পোষণ করেন। শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এটাই প্রমাণ করে যে চিকিৎসকরা কতটা অরক্ষিত। এ ব্যাপারে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবী দাওয়া মানা না হলে সারা বাংলাদেশের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা একযোগে পরবর্তী কর্মসূচী দেবে বলে জানা যায়।
এখানে এজাহারের একটি কপি সংযুক্ত করা হলোঃ
কর্মবিরতির বিকল্প নাই। নাহলে আ*দা বাংগালি এবং সরকার ও কখনোই বুঝবে না।