৫ এপ্রিল ২০২০:
ডা. নাহিদ হাসান রিফাত
মেডিকেল অফিসার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি
ইন্টার্নশীপ শেষে, ২০১৭ সালের জুনের ৭ তারিখ অনেক ভয় নিয়ে আমি জীবনের প্রথম এই জায়গাটায় প্রবেশ করি।
বিএসএমএমইউ’র সেন্ট্রাল লাইব্রেরী!
বিএসএমএমইউ তে গিয়েছি, কিন্তু লাইব্রেরীতে যাই নি এই ইতিহাস খুব কমই আছে আমার। হাজারো সুখ কিংবা দু:খের গল্প এই লাইব্রেরীর প্রতিটা সিটের সাথে মিশে আছে।
কখনো এত্তটা খালি থাকতে দেখিনি আমি। কত্তটা দিন হয়ে গেলো সিটগুলোর সাথে সেই মেধাবী ডাক্তারদের সম্পর্ক নেই। খবর এনালাইসিস করে বুঝতে পারছি প্রচন্ড ঝড় শুরু হয়ে গেছে। আমার বিশ্বাস ডাক্তাররা বীরের মত এই ঝড়ের মোকাবেলা করবেন।
কোন একদিন, ঝড় শেষে আমরা সবাই আবার লাইব্রেরীতে বীরের বেশে ফিরে আসবো। ৮/১০ মিনিটের মাঝে সব সিট দখল হয়ে যাবে। আর আমি কাজ না থাকলেও ঘুরতে যাবো লাইব্রেরীতে। আর পরিচিত সবার সাথে আজাইরা গল্প করে বেড়াবো আর হো হো করে হাসবো। আর হঠাৎ করে খেয়াল করে দেখবো আশে পাশের কোন ডাক্তার ভাইয়া কিংবা সুন্দরী আপু খুব অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
যার দৃষ্টিতে খুব স্পষ্ট করে অদৃশ্য লেখাটা আমি দেখা মাত্রই পড়ে ফেলব,
“তোমার এত্ত সুখ কোথ্থকে আসে ভাই? অনেক হয়েছে, যাও আর ডিস্টার্ব করো না।”
আমি আবার চলে যাবো অন্য কোন সিটে অন্য কারো সাথে আজাইরা গল্প করতে আর হো হো করে হেসে বেড়াতে।