খবরে প্রকাশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে বাজেট ৪২৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী ৩৩,৫০০ ( উইকিপিডিয়া ) । প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য সরকারের বছরে খরচ ১,২৬,৯৮৫ টাকা । অর্থাৎ চার বছরের কোর্সে ১জন শিক্ষার্থীর জন্য খরচ ৫,০৭,৯৪০ টাকা যাহা আমাদের সকলের ট্যাক্স এর টাকা । আমি গত আড়াই বছর মিটফোর্ড এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবৈতনিক চিকিৎসক হিসাবে সেবা প্রদান করছি । বর্তমান সরকারী বেতন অনুযায়ী এ বাবদ আমার প্রাপ্য ১৯,০০০ ×১২ × ২.৫ ~ ৫,৭০,০০০ টাকা । অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকার এবং মানুষকে ৫,৭০,০০০ টাকা দান করেছি ( সমমূল্যের সেবা বিনামুল্যে দান করেছি )। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আমাদের ট্যাক্সের ৫ লক্ষ টাকায় পড়াশোনা করে একজন চিকিৎসককে বলে কশাই, যে দেশের মানুষকে বিনা পারিশ্রমিকে ৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা সমমূল্যের সেবা প্রদান করেছি। উল্লেখ্য একজন ডাক্তার তৈরিতে সরকারের বাড়তি তেমন খরচ নেই, কেননা ডাক্তার তৈরি না করলেও দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্য সেবার জন্য উক্ত খরচ সরকারকে বহণ করতে হত ।খুব জানতে ইচ্ছা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং যেকোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী কি দেশের মানুষকে বিনামূল্যে সেবা প্রদান করেন?
পোস্টটা একটা কারণেই দেওয়া। সবাই বলে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পড়াশুনা করে ডাক্তার হয় কিন্তু ফ্রি রোগী দেখে না কেন?
আমি শুধু পরিসংখ্যানটা দেখালাম।
জনগণের লাখ লাখ টাকা ট্যাক্সে পড়ে ম্যাজিস্ট্রেট বিনা বেতনে বিচার করছে না
ইঞ্জিনিয়ার বিনাপয়সায় রাস্তা ঘাট সরকারী বিল্ডিং এর কাজ করে না
গরীব চাষীদরে ঋণ বিতরনের কাজ ব্যাংকার বিনাবেতনে করে না
সেনাবাহনী বিনা বেতনে দেশ রক্ষার কাজ করে না
কোন আমলা বিনা পয়সায় দেশের উন্নয়নমূলক কাজের ফাইল ধরেন না
আমি জনগণের ট্যাক্সের ঋণ শোধ করেছি, আপনি শোধ করেছেন কি ?
চিকিৎসকদের গালি দেন আর যাই করেন তারা অনন্ত ঋণের বোঝা নিয়ে কবরে যাবে না । ভাল খারাপ সর্বত্র আছে, কিছু চিকিৎসকের অনৈতিক কাজের জন্য দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ধ্বংস করবেন না ।
মূল লেখা লিখেছেনঃ ডাক্তার নিত্যানন্দ পাল
অনুলিখনঃ ডা রজত দাশগুপ্ত