প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১৩ জুন ২০২০, শনিবার
সুপার সাইক্লোন আম্ফান-এ দেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হল খুলনার কয়রা উপজেলা। সেখানে বেরিবাঁধ ভেঙ্গে লোনা জলে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার মানুষের বাড়ি ঘর, মাছের ঘের, গবাদিপশু ও লক্ষ লক্ষ টাকার ফসলের খেত। অত্র এলাকার মানুষ উচু রাস্তার উপর ঢিবিতে টোং বানিয়ে পানিবন্দি হয়ে এখন মানবিক জীবন যাপন করছে।
এই ক্রান্তিকালে বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ডাক্তার ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সংগঠন “প্ল্যাটফর্ম অব মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল সোসাইটি”। তারা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে কয়রার অসহায় মানুষদের জন্যে অনুদান সংগ্রহ করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের খাদ্য ও ওষুধ সামগ্রী বিতরণ করছে। ১১ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ঘটিকায় তারা কয়রা উপজেলার কয়রা ইউনিয়ন ও উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্থ কাঠমরচর, হাজতখালী, বেদকাশী, গাজীপাড়া, কাটকাটা সংলগ্ন গ্রামগুলোর প্রায় ১৩০টি পরিবারের মাঝে খাদ্য ও ওষুধ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। প্রতিটি পরিবারের ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল ৪ কেজি চাল, ৫০০ গ্রাম ডাল, ১ কেজি আলু, ৫০০ গ্রাম তেল, ৫০০ গ্রাম পেয়াজ, ২ টি মোমবাতি এবং ১টি ম্যাচ প্যাকেট। ঔষধ সামগ্রীর মধ্যে ছিল প্যারাসিটামল, এমোডিস, খাবার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট। এই উদ্যোগে সার্বিক সহযোগিতা করেছে উৎসর্গ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
উক্ত খাদ্য ও ওষুধ সামগ্রী পেয়ে বানভাসি গ্রামের মানষ খুবই খুশি হয়েছেন। উপহার সামগ্রী নিয়ে উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের বিধবা হাওয়া বিবি বলেন
“ঝড়ে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ঘর বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে আমরা এখন সাইক্লোনে থাকছি। এমন সময় ত্রাণ পেয়ে কিছুটা হলেও উপকার হয়েছে।”
প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মাহফুজ রনির নেতৃত্বে কর্মীরা এই অসহায় মানুষের পাশে দাড়ান। তারা ভবিষ্যতেও এমন মানবিক কাজে পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি সমাজে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এসকল অসহায় বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্যে।