প্ল্যাটফর্ম নিউজ, বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০২০
এবার ইন্টারনেটের অস্কারখ্যাত ‘Webby Award’ জিতলো সমীর-সেঁজুতির নিজ হাতে গড়া সংগঠন ‘চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন’।
বিল গেটস আর মার্ক জাকারবার্গ যাঁদের নিয়ে প্রশংসায় মত্ত, বলছিলাম সেই ড. সমীর সাহা ও তাঁর মেয়ে ড. সেঁজুতি সাহার কথা, যাঁরা ইতিমধ্যেই বিশ্বকে তাঁক লাগিয়ে দিয়েছেন। “সেঁজুতি মডেল” শব্দটা হয়তো অনেকে শুনে থাকবেন। অনেকেই “সেঁজুতি মডেল” শব্দটা শুনে আর চেহারাটা মিলিয়ে চট করে বুঝে নেবেন যে এত সুন্দর শাড়ি পড়া মিষ্টি হাসির মেয়েটাকেই হয়ত “সেঁজুতি মডেল” নাম দিয়েছি। কিন্তু আসলে তা নয়। “সেঁজুতি মডেল” একটি প্রোটোকলের নাম, যে প্রোটোকলটি অনেক দেশে মেনিনজাইটিস রোগে আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে ফলো করা হয়। ঠিক যেমন করে বিভিন্ন বিজ্ঞানীর নাম তাদের আবিষ্কারের সাথে জুড়ে দেয়া হয় নামটা স্মরণীয় রাখতে- “সেঁজুতি মডেল” নামটাও তেমনই!
রহস্যময় ‘মেনিনজাইটিস’ নিয়ে করা একটি ৩৬০ তথ্যচিত্রের জন্য ইন্টারনেটের অস্কারখ্যাত ‘Webby Award’ জিতলো সমীর-সেঁজুতির নিজ হাতে গড়া সংগঠন ‘চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন’।
এর আগে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম নোভেল করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করে সংগঠনটি। বাংলাদেশের চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনে সার্স-কোভ-২ এর জিনোম সিকোয়েন্সিং ছিল একটি দলগত প্রচেষ্টার ফল। এ কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন অণুজীববিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহা নিজেই।
দুই হাজারেরও বেশি শিল্প বিশেষজ্ঞ এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবকদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারক সংস্থা ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অফ ডিজিটাল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস’ দ্বারা প্রতিবছর ইন্টারনেটে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের এই ওয়েবি এওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়।
বিচারকদের পর্যালোচনা এবং মনোনীতদের বিশ্লেষণের ভিত্তিতে একাডেমির ভোট প্রতিটি বিভাগে একটি বিজয়ীকে বেছে নেয়। এই এন্ট্রিগুলো ওয়েবি এওয়ার্ড পান। অতিরিক্ত হিসেবে- অনলাইন সম্প্রদায়, সর্বজনীন ভোটের মাধ্যমে, প্রতিটি বিভাগে একটি বিজয়ীকে বেছে নেয়। এই এন্ট্রিগুলো ওয়েবি পিপলস ভয়েস অ্যাওয়ার্ড পান।