ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ,গাজিপুর এ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে এবং চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের সংগঠন প্ল্যাটফর্মের সহযোগিতায় মাইক্রোবায়োলজি এবং ফারমাকোলজি ডিপার্টমেন্টের তত্বাবধানে পালিত হলো “বিশ্ব এন্টিবায়োটিক সপ্তাহ ২০১৮”।
বিশ্ব এন্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ ২০১৮ এর এবারের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘অযথা এন্টিবায়োটিক সেবন ক্ষতির কারণ, বিনা প্রেসক্রিপশনে তা কিনতে বারণ’।
২৭ নভেম্বর, সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় র্যালি এবং সিগনেচার ক্যামপেইন এর মাধ্যমে। অনুষ্ঠান উদ্ভোধন করেন ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডাঃ হাবিব সাদাত চৌধুরী স্যার,বিভাগীয় প্রধান,বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগ। উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডাঃ আদনিন মৌরিন ম্যাম,বিভাগীয় প্রধাণ,মাইক্রোবায়োলজি,Brig Gen. মোহাম্মদ আশ্রাফুজ্জান(Ret), বিভাগীয় প্রধান ফারমাকোলজি বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগের ফ্যাকাল্টিগণ।
সারাদিন ব্যাপি চলা এই প্রোগ্রামে প্ল্যাটফর্মের এক্টিভিস্ট এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা মেডিকেল হাসপাতালের আউটডোর, কলেজের আশেপাশের দোকান এবং ফারমেসি,গ্রামবাসী,স্কুল এবং মাদ্রাসা সহ সব জায়গায় এন্টিবায়োটিকের সচেতনাতার কথা এবং লিফলেট শপথ বাক্য বিতরণ করে তাদের সচেতনতার কাজ পরিচালনা করেন।
পরবর্তীতে কলেজের অডিটোরিয়ামে উক্ত বিষয়ের উপর একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সেমিনারের
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে পরিচালনা করেন কমিউনিটি মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের এসোসিয়েট প্রফেসর ডা. হুমায়রা ম্যাডাম।
অনুষ্ঠানে উপস্তিত ছিলো কলেজের স্টুডেন্স এবং অন্যান্য সব বিভাগের ফ্যাকাল্টিরা।
এরপর এন্টিবায়োটিক এবং তার সচেতনতার বিষয় নিয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন ডাঃ আদনিন মৌরিন ম্যাম,বিভাগীয় প্রধাণ,মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ। তিনি এন্টিবায়োটিক এবং তার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বর্তমান বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতি সুন্দরভাবে তুলে ধরেন। এবং প্রতিরোধে সকলের করণীয় কি এবং কিভাবে সচেতন হয়ে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যায় সেই বিষয়ে বিস্তর দিক নির্দেশনা দেন তিনি তার বক্তব্যে।
এরপর বক্তব্য রাখেন উক্ত সেমিনারের কি নোট স্পিকার Brig Gen. মোহাম্মদ আশ্রাফুজ্জান(Ret), বিভাগীয় প্রধান ফারমাকোলজি বিভাগ,তিনি তার বক্তব্যে এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহার,এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট এর কারন এবং আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এর অবস্থা এবং স্পষ্টভাবে এর থেকে প্রতিকারের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন।
সেমিনার আয়োজনে সাহায্য করে CME ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলজে ইউনিট এবং র্যালী ও সিগনেচার ক্যাম্পেইন, সচেতনতার কাজ সহ পুরো অনুষ্ঠানটির নেতৃত্ব দান করে উক্ত কলেজের প্ল্যাটফর্মের প্রধান প্রতিনিধি Mohammad Arafat এবং এক্টিভিস্ট সাইফুর সাইদ, সাদেকুর রহমান,রুনা ইসলামসহ ভলান্টিয়াররা তাদের সাথে একাত্ব হয়ে কাজ করেন।
এছাড়া অনুষ্ঠান আয়োজনে আমাদের সাহায্য করেছেন কমিনিউটি মেডিসিন ডিপার্টমেন্টে।
উক্ত অনুষ্ঠানে ভলান্টিয়ার ছিলো ১৫ জনের মত।
সিগনেচার ক্যামপেইনে প্রায় ১৫০-২০০ জনের সাইন নেয়া হয় এবং আউটডোর আর হাসপাতালের আশেপাশে প্রায় ২৫০/৩০০ মানুষকে লিফলেট এবং সচেতনতা মুলক কাইন্সেলিং করা হয়।
পরিশেষে সুন্দরভাবে জনসচেতনামূলক কার্যক্রমটি পরিচালনা করার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আমাদের টিম প্ল্যাটফর্মকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ছবিতে ছবিতে এন্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ ২০১৮ঃ