প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ৩০ জুন ২০২০, মঙ্গলবার
ইরানে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে করোনা ভাইরাসে একদিনেই ১৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ২৬ মার্চ দেশটিতে সর্বোচ্চ মৃত্যু সংখ্যা ছিল ১৫৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫৩৬ জন।
দ্বিতীয় ওয়েভে ইরানই একমাত্র দেশ যেখানে প্রথম ওয়েভের চেয়ে করোনাভাইরাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু সংখ্যা ছাড়িয়েছে। প্রথম ওয়েভে ইরান অনেকটাই কমিয়ে নিয়ে এসেছিল কিন্ত এই মুহুর্তে জনগণের স্বাস্থ্য দিক-নির্দেশনা মেনে না চলা আবারো ইরানকে কঠিন মুহুর্তের সম্মুখীন করছে।
ইরানের ইস্পাহান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কামরুজ্জামান নাবিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে জানান,
“প্রথম ওয়েভে ইস্পাহান শহরে চারটি হাসপাতাল করোনা সেন্টার ছিল এবং ধীরে ধীরে রোগী কমে যাওয়ায় বর্তমানে ২টি হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। আজ এ দুটি হাসপাতাল পুরো ভর্তি হয়ে যাওয়ায় অনেককেই হাসপাতালের বারান্দায় ভর্তি নেয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় সামনে সপ্তাহে আবারো আগের সেন্টারগুলো চালু করে দেবার কথা ভাবা হচ্ছে। ইরানে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে মুল কারন হিসেবে বলা হচ্ছে, জনগণের মাঝে করোনা চলে গেছে এমন ভাবনা এবং অনেকেই চলাচলের পথে মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছেন না।”
এছাড়াও রেড জোনে নতুন নতুন শহরের নাম যুক্ত হচ্ছে খুজেস্তান, কুর্দিস্তান, আজারবাইজান পুর্ব এবং পশ্চিম, হুরমোজগান, বুশেহের, খোরাশান রেজাভি এবং কেরমান শাহ রেড জোনে রয়েছে। যেসব এলাকায় জনগণ স্বাস্থ্য দিক-নির্দেশনা মানছেন না সেসব এলাকায় ফের কঠোরতা অবলম্বন করা হতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ৪০ ভাগ যারা করোনায় মারা গেছেন হার্ট, ডায়াবেটিক, প্রেসারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
অন্যদিকে বিভিন্ন শহরে করোনা সেন্টারগুলো ভর্তি হয়ে যাওয়ায় আবারও করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতাল বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে ইরানে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ৬৭০ জন এবং আক্রান্ত সংখ্যা ২ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন ছাড়িয়েছে। হাসপাতালে তীব্র লক্ষণ নিয়ে ভর্তি আছেন ৩ হাজার ৩৭ জন।
বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত ১ কোটির বেশি। মৃতের সংখ্যা ৮ লাখের বেশি। তবে ৫০ লাখ ৬০ হাজারের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।