তিনি ডাঃ ফাতেমা বেগম
২৫/০৬/১৭ তারিখে ঈদ উপলক্ষে ৩টা ৪০মিনিটের লঞ্চে ঢাকার উদ্দেশ্যে চাঁদপুর ছেড়েছেন ।বিকাল ০৫ টার দিতে লঞ্চে পায়চারী করার সময় তার নজরে আসে এক অল্পবয়সী মেয়ে দুজনের ওপর ভর দিয়ে ব্যথায় কাতরাচ্চছে। তিনি এগিয়ে গিয়ে জানতে পারেন তার পেটে ব্যথা। একটু কৌতুহলি হয়ে তিনি তার পরীক্ষা নিরীক্ষার কাগজ পত্র দেখে তিনি জেনে যান,মেয়েটির ০৫মাসের গর্ভ মিসড এ্যবরশন হয়ে গেছে- লক্ষীপুর হতে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে,এখন তার রক্তপাত হচ্ছে।
ডাঃ ফাতেমা বেগম ভাবছেন কি করা যায়। তার সাথেতো কিছুই নেই,একটা গ্লবসও নেই,রোগীর রক্ত পাত হচ্ছে কিছুতো করা দরকার,না হলে জীবন সঙ্কটাপন্ন হতে পারে। কিছু করতে গেলেও ঝুকি। রোগীর অবস্থা খারাপ হলে তার নিজের জীবনের উপর ঝুঁকিও আসতে পারে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিতসকের বিপদের কথা তার অজানা নয়।
কিন্তু একজন রোগীকে চোখের সামনে এভাবে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে দিতেই চিকিতসক হিসেবে তিনি মেনে নিতে পারছেন না।
তাই তিনি লঞ্চের কিচেনে গ্লবস খুঁজেছেন,পেলেন না,পলিথিন খুঁজেছেন,শেষমেশ খালি হাতেই ঝুকিটা নিলেন,এবং মৃত বাচ্চা বের করতে সক্ষম হলেন।
গর্ভফুল বের করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে,শেষ পর্যন্ত তিনি সফলতার সাথে কেসটি ম্যানেজ করেছেন।
ডাক্তার হিসাবে তার এই সফলতায় তিনি খুবই তৃপ্ত,আর্থিক প্রাপ্তি নেই কিন্তু তিনি খুবই তৃপ্ত।
সতের বছরের রোগিনী এখন মৃত্যুঝুকি মুক্ত।
চিকিতসকদের এই প্রতিকুল পরিবেশে নিজের নিতাপত্তাঝুকির কথা চিন্তা না করেই, মানব সেবায় এগিয়ে আসার সাহসিকতার জন্যে প্ল্যাটফর্ম পরিবার এর পক্ষ থেকে ম্যাডামের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা।
তথ্য ও ছবিঃ ডা. ইফতি শিহাব।