ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে হাড়ভাঙা চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসার শিকার হয়ে শত শত রোগী পঙ্গু হওয়ার আভিযোগ পাওয়া গেছে। বিক্ষুব্ধ রোগীর অভিভাবকরা ভুয়া কবিরাজকে সোমবার সন্ধ্যায় আটক করলেও পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের চরজিতর গ্রামের আব্দুল হেকিম ও তার ছেলে জামাল উদ্দীন দীর্ঘ দিন ধরে হাড়ভাঙা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিলেন। ১৪ বছর উপজেলা শহরের পুরান বাজারে চেম্বার বসিয়ে প্রকাশ্যে অপচিকিৎসা চালালেও প্রশাসন নির্বিকার ছিল।
ঈশ্বরগঞ্জের কাহেদ গ্রামের সুরুজ আলীর প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী সুর্বণার হাত ভাঙার চিকিৎসায় ২০ দিনেও কোনো উন্নতি না হওয়ায় সোমবার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ করেন। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে নারায়ণপুর গ্রামের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র সোহাগ, ময়মনসিংহের ছাতিয়ানতলা গ্রামের সারোয়ার, বড়হিতের সৈয়দাবাদ গ্রামের মোশাররফ হোসেন, গৌরীপুরের ঘাটের কোনা গ্রামের অনিক, নান্দাইলের হরিয়া বেতাগৈর গ্রামের হেলাল উদ্দিন ও তাদের অবিভাবকরা জানান, ওই চিকিৎসকের কাছে এক-দেড় মাস চিকিৎসা নিয়ে হাজার হাজার টাকা ব্যয় করেও কোনো উন্নতি হয়নি। বরং অনেকের অবস্থা আগের চেয়ে অবনতি হয়েছে।
কবিরাজ হেকিম জানান, তিনি অক্ষর জ্ঞানহীন। কবিরাজি ব্যবসার আগে রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন। তার চিকিৎসায় অনেক রোগী ভালো হয়েছে। ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম ভুয়া কবিরাজকে আটকের কথা শিকার করে জানান, এ ধরনের অপচিৎসা তিনি করবেন না মর্মে মুছলেকা দেয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. লক্ষ্মীনারায়ণ মজুমদার জানান, এ ধরনের চিকিৎসার আইনত কোনো বৈধতা নেই।