বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থানকারীদের বিচারের দাবিতে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে সকল সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া সকলের বিচারের দাবিতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অধ্যক্ষ বরাবর একটি দরখাস্ত করা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ বিচারের আশ্বাস দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তদন্ত কমিটির কাছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যাবতীয় সকল প্রমাণ ডকুমেন্ট আকারে উপস্থাপণ করেন।
এইসকল ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ছাত্রলীগের পদধারী শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চলাকালীন বিভিন্ন ফেইসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপে ছাত্রদের হুমকি প্রদান করেন এবং সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্দোলনের পক্ষে দেওয়া পোস্টের স্ক্রিনশট রাখতে আহ্বান জানান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে এক দফার আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখা বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে ফ্যাসিবাদের দোসররা। এছাড়াও বিগত দিনে বিভিন্ন ফেইসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপে প্রতিষ্ঠানের আওয়ামী বিরোধী শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে অরুচিপূর্ণ্য মন্তব্য করা হয়।
উপযুক্ত সকল ডকুমেন্টস জমা দেওয়ার পর ন্যায্য বিচারে কালক্ষেপণ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ২ অক্টোবর, ২০২৪ রোজ বুধবার ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে। সকাল ৮ টা থেকে শিক্ষার্থীরা কলেজের টিকিট কাউন্টারের সামনে অবস্থান নিলে হাসপাতালের বর্হিবিভাগের চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে যায় তবে জরুরি বিভাগের সকল কার্যক্রম চলমান থাকে।
শিক্ষার্থীদের সাথে কলেজ ও হাসপাতাল কর্তপক্ষের কয়েক দফা আলোচনা হয় এবং সর্বশেষ জরুরী ভিত্তিতে একাডেমিক কাউন্সিল মিটিং এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তদের সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন:-
১. ডা: সালেহীন সাদ (মেডিকেল অফিসার, কার্ডিওলজি বিভাগ, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ; ব্যাচ -৪; সাধারণ সম্পাদক, স্বাচিপ, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ)
২. ডা: মিজানুর রহমান সুমন (ব্যাচ-৭; সাবেক সভাপতি, সম্মিলিত বেসরকারি চিকিৎসাবিজ্ঞান শাখা ছাত্রলীগ )
৩. ডা: আনিসুর রহমান আন্না (ইন্টার্ন; ব্যাচ-৯; সভাপতি, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগ)
৪. ডা: আবদুল্লাহ আল মাসুম (মেডিকেল অফিসার, নিউরোসার্জারী বিভাগ, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ; ব্যাচ-৯; সাবেক সাধারণ সম্পাদক, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগ)
৫. ডা: মুহাইমিনুল হাসান শান্ত (ব্যাচ-১০; সহ সভাপতি, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগ)
৬. ডা: মেহেদী হাসান সেজান (ইন্টার্ন; ব্যাচ-১১; সাধারণ সম্পাদক, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগ)
৭. ডা: শেখ কল্লোল মাহমুদ (ইন্টার্ন, ব্যাচ-১১; সাংগঠনিক সম্পাদক, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগ )
৮. ডা: আরিফুল ইসলাম নাবিন (ইন্টার্ন; উম-১১; সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ )
৯. আসিফ শাহরিয়ার সোহাগ (ব্যাচ-১৪; প্রচার সম্পাদক,উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগ )
১০. মোহাম্মদ ইব্রাহিম (ব্যাচ-১৫; আইন বিষয়ক সম্পাদক, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগ)।