৯ নভেম্বর, ২০১৯
কালাজ্বর লিশম্যানিয়া ডনোভানি (Leishmania Donovani) নামক পরজীবি দ্বারা ঘটিত একটি রোগ, যা বেলেমাছি দ্বারা সংক্রমিত হয়।
পৃথিবীতে প্রতিবছর আনুমানিক দুই থেকে চার লক্ষ মানুষ কালাজ্বর রোগে আক্রান্ত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল এই তিনটি দেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি।
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশের ২৬টি জেলার ১০০টি উপজেলার ৩ কোটি মানুষ কালাজ্বরের ঝুঁকিতে আছে।
সরকারের পক্ষ থেকে এ রোগ নির্মূলের লক্ষ্যে জাতীয় কালাজ্বর নির্মূল কর্মসূচী ২০০৮ সাল থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। কোন কর্মসূচী সফল করতে হলে তার যথার্থ ব্রান্ডিং, প্রচার প্রচারনা, সামাজিক সচেতনতা প্রয়োজন। শুধুমাত্র সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমেই নয়, পাশাপাশি বেলেমাছির বংশবিস্তার রোধ এবং প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসের মাধ্যমেই কেবল এ রোগের নির্মূল করা সম্ভব। তাছাড়া কালাজ্বর রোগের সাথে দারিদ্রতার একটা গভীর যোগসূত্র রয়েছে। ভেজা, স্যাতস্যাতে, নোংরা পরিবেশ এ রোগের ক্ষেত্রে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করে। আর এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সচেতনতা ও উদ্যোগের বিকল্প নেই।
কালাজ্বর নির্মূল কর্মসূচী ২০৩০ সালের মধ্যে ‘কালাজ্বর মুক্ত বাংলাদেশ’ গঠনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তারই অংশ হিসেবে সম্প্রতি জ্যাকেট ব্রান্ডিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সাদা রংঙের জ্যাকেটের মোড়ক উন্মোচন করলেন সিডিসির লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা। কালাজ্বর নির্মূল কর্মসূচীতে যুক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহের লোগো যুক্ত জ্যাকেট পরিধান করে কালাজ্বর নির্মূল কর্মসূচী, বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্থা এবং অ্যাসেন্ড সম্মিলিত ভাবে ময়মনসিংহ জেলার কালাজ্বর নির্মূলে বাহক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী, কীট নাশক ছিটাই কার্যক্রম তত্বাবধান ও মূল্যায়ন করা হলো গত ৬ ও ৭ নভেম্বর। অংশগ্রহনকারীদের এই কালাজ্বর ব্রান্ডিং জ্যাকেট ময়মনসিংহ এবং এর বিভিন্ন উপজেলার মানুষের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করেছে। আর এভাবে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই ‘কালাজ্বর মুক্ত বাংলাদেশ’ লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।
তথ্যসূত্র: ডা. নাজির আহমেদ
স্টাফ রিপোর্টার/ ফাহমিদা হক মিতি