১২আগস্ট,সকাল ৯ঃ০০ ঘটিকা।এপ্রন পড়ে নাস্তার টেবিলে বসল ফারিয়া।নাস্তার পদে কিছুটা ভিন্নতা দেখতে পেল।রান্নাঘর থেকেও হাঁড়িপাতিলের ঠুংঠাং আওয়াজ আসছে।ছোটবোনটা খুবই খুশিখুশি। এসব না দেখলে সে হয়তো বুঝতেই পারতো না আজ ঈদ।সবার জন্য সকালটা অন্য রকম হলেও তার জন্য বাকি সব দিনের মতোই। আজও হসপিটাল এ ডিউটি আছে।
আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে ও কোন রিকশা কিংবা ট্যাক্সি পেল না তারেক।ছুটির দিন। পাশ কাটিয়ে দু’জন হেঁটে গেল।”ডাক্তার””কসাইকে না ডেকে একেই নিয়ে যাই নাহ।”শুনতে পেল তারেক।বাসা থেকে বেরোনোর সময় পাশের বাসার আঙ্কেল হেসে বলেছিল”ডাক্তাররা একটু অসামাজিক ই বটে”।দীর্ঘশ্বাস ফেলল তারেক। “বাবা একটু সরে দাঁড়াও তোহ।” সরে তো দাঁড়াতেই হবে, সাদা এপ্রনে যে কোন দাগ পড়তে দেয়া যায়না।
“হ্যালো সাদিয়া, মা খেয়েছিস?”” না মা সময় পাইনি।””তোর বাবাকে দিয়ে খাবার পাঠাই?””না মা আসতে পারবেনা। বৃষ্টিতে পানি উঠেছে।হসপিটালের নিচতলায় ও পানি””তুই কি করছিস?””আমি আউটডোর এ,পেসেন্ট দেখছি।”
রাত আটটা।বাসায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল রুবায়েত।হঠাৎ কোলাহল।কয়েকজন উচ্চস্বরে কথা বলছে,কয়েকজন তো মারমুখী। বুঝতে দেরি হলোনা ইনারা পেসেন্টের আত্মীয় স্বজন।পেসেন্টের বাবার দাবি”আমার পোলাডা দুপুরেও ভালা আছিলো,ডাক্তার আপায় কী একটা ইনজেকশন দিয়া আমার পোলার এই অবস্থা করছে”
উপরের প্রতিটি চরিত্রই কাল্পনিক কিন্তু বাস্তব গল্পগুলো।বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ডেঙ্গু এর্লামিং একটি রোগ।প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বাতিল করা হয়েছিল প্রতিটি স্বাস্থকর্মীর ইদের ছুটি।তাইতো ইদ উৎসবের কথা ভুলে সাধারন মানুষের সেবায় মত্ত হয়ে উঠেছিলো “ডাক্তার” মানুষগুলো।ডেঙ্গুর মতো এমনই অনেক রোগে নিজেদের আনন্দ উৎসবকে বিসর্জন দিয়ে অপবাদ,কটাক্ষ উপেক্ষা করে মানবতার সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করাই এদের ব্রত।সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবেই এদের আনন্দ, এদের উৎসব। এরা মায়ায় জড়াতে জানেনা,মায়াকে আগলে রাখতে জানে।
Fabiha tafannum
Chattogram ma o sishu hospital medical college
Session 2017-2018