বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০২০
যখন আমি প্রথম ইয়াসাদের ডায়াগনসিস টা জানতে পারি, আমি খুব ভীত, অধৈর্য্য, রাগ ও ঘৃণা বোধ করছিলাম। আমি যেন আমাকেই হারিয়ে ফেলেছিলাম। সাথে কিছু নিকটআত্মীয়ের ব্যবহার আমাকে ও আমার ছেলেকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে ফেলছিল। কিন্তু আমি সেই ভয় পেরিয়ে এসেছি। আমি আবিষ্কার করেছি আমার ছেলেকে আমার জন্যে এক নতুন চ্যালেঞ্জ ও সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত এক আশির্বাদ হিসেবে, আমি আবিষ্কার করেছি আমার নিজেকে। আমি ধৈর্য্য ধরতে শিখেছি। আসলে ইয়াসাদ আমাকে শিখিয়েছে যে ওকে ভালোভাবে বুঝতে হলে আমাকে প্রচুর ধৈর্যশীল হতে হবে। ওর প্রয়োজনগুলো আমাকে বোঝাতে ওকেও প্রচুর ধৈর্যধারন করতে হয়। আমি আমার রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেছি। আমি ভালোবাসতে শিখেছি, শান্ত থাকতে শিখেছি যদিও কেউ আমাকে বা ইয়াসাদকে নিয়ে কটাক্ষ করেছে। আমার ছেলে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষক। ইয়াসাদ, আমাকে এই নিঃশর্ত ভালোবাসা দেবার জন্যে তোমাকে ধন্যবাদ। আমি আশা করি তুমি সারাজীবন তোমার এই ভালোবাসা তুমি সবাইকে বিলিয়ে যাবে নিঃশর্তভাবে। শেখাবে পৃথিবীকে কিভাবে ভালোবাসতে হয়। ইয়াসাদ, আমার ছেলে, একজন স্পেশাল চাইল্ড। আমার জীবনের সবচেয়ে স্পেশাল মানুষ।
ইয়াসাদরা আপনাকে ভালোবাসবে তখনই, যখন তারা আপনার মাঝে ভালোবাসা দেখবে। সমাজে তাদের উপস্থিতির ব্যাপারে সচেতন হোন, তাদের গ্রহণ করুন, ভালোবাসুন নিঃশর্তভাবে। তারা আপনাকে এক সুন্দর আগামী দেবে।
Parent educator, Bangladesh therapy and rehabilitation foundation