লেখকঃ ডাঃ মোঃ মারুফুর রহমান
৩৩তম বিসিএস একটি বিপ্লবের নাম, আমি তাই ভাবি, অন্তত এমনটাই হবার কথা ছিল। ৬হাজারের বেশি ডাক্তার দেশের সব উপজেলা তো বটেই, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র পর্যন্ত পৌছে গেছে। সারাদেশের মানুষের জন্য চিকিতসা সেবা এখন হাতের নাগালে। এই বিসিএস ডাক্তারেরা নিজেদের ঘর বাড়ি, বাবা মা, বউ স্বামী, জেলা, বিভাগ, পড়াশুনা, প্রশিক্ষন সব ছেড়ে স্বীয়কর্মস্থলে ছুটে গেছেন। এই পর্যন্ত ঠিক ছিল। এরপর বড় অদ্ভূত বিষয় এইসব ডাক্তারেরা থাকার জন্য যায়গা চাওয়া শুরু করলেন (!) বিশেষ করে মহিলা ডাক্তারেরা যারা অন্য জেলা থেকে এসেছেন। আরে তোরা কি এডমিন বা ফরেন সার্ভিস বিসিএস বা অন্য কোন বিসিএস নাকি, তোরা তো ডাক্তার, তোদের আবার থাকা খাওয় কি?! এমন এক অদ্ভূত দাবী শোনা গেল দেশের কোন এক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (কালিহাটি টাঙ্গাইল)। যেখানে নতুন পোস্টেড অনেক ডাক্তারই মেয়ে এবং তারা চারজন মিলে একটি ডর্মিটরি ভাড়া নিতে চাইলেন যা একজন সিস্টার এর দখলে ছিল। অতঃপর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (তিনিও একজন নারী) সিস্টারকে নোটিশ দিলেন এবং পরদিনই এলাকার চেয়ারম্যান এসে শাসিয়ে গেলেন সিস্টার সেখানেই থাকবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পারলে তাকে সরাক, কতবড় সাহস দেখা যাবে, ইত্যাদি। জানা গেল সিস্টারের স্বামী চেয়ারম্যানের দলের লোক। তো হয়ে গেল ডাক্তারি, পরিদর্শনে এসে এহেন বাসস্থান বিড়ম্বনায় পড়া ডাক্তারদের অনুপস্থিত পেয়ে মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা রেড কার্ড দিয়ে গেলেন। তো জাতি একটি রেডকার্ডধারী বিপ্লব পেল যা সকল সম্ভাবনা নিয়ে বেঞ্চে বসে ঝিমাবে আর মাঠে খেলবে পুরোনো “সিস্টেম”, খেলা চললেই হল, চলুক।