একাত্তরের রণাঙ্গনের গেরিলা যোদ্ধা ডা. মোরশেদ চৌধুরী মারা গেছেন।
রাজধানীর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে গেরিলা বাহিনী ক্র্যাক প্লাটুনে যোগ দেন বাগেরহাটের বাসিন্দা মোরশেদ চৌধুরী।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এক পর্যায়ে ভারতের ত্রিপুরার বিশ্রামগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অস্থায়ীভাবে তৈরি বাংলাদেশ হাসপাতালে চিকিৎসক হিসাবে যোগ দেন ডা. মোরশেদ। ত্রিপুরার ওই হাসপাতালই পরে দেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসাবে পরিচিতি পায়। ডা. মোরশেদ ওই হাসপাতালের উপদেষ্টা ছিলেন।
রণাঙ্গনের সহযোদ্ধার স্মৃতিচারণ করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, “ডা. মোরশেদ রণাঙ্গনে যেমন সক্রিয় ছিলেন, তেমনি ত্রিপুরায় স্থাপিত বাংলাদেশ হাসপাতালেও রেখেছিলেন অগ্রণী ভূমিকা।”
ডা. মোরশেদের অপর দুই ভাই শাহাদাৎ চৌধুরী (বিচিত্রা সম্পাদক) ও ফতেহ আলী চৌধুরীও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বলে জানান বাচ্চু।
গেরিলা বাহিনীর সদস্য বিচ্ছু জালাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ক্র্যাক প্লাটুনের অধিকাংশ সদস্যই ছিলেন ছাত্র ও সাধারণ মানুষ। ভারত থেকে প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশের রণাঙ্গনে তারা পাকিস্তানি হানাদারদের মোকাবেলা করতেন।
নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু জানান, ডা. মোরশেদ দীর্ঘদিন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
দুপুরে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের মাঠে জানাজার পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সাভারের নলাম কবরস্থানে দাফন করা হয় ডা. মোরশেদকে।
শেষ জীবনে ডা. মোরশেদ সাভারে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক (কমিউনিটি মেডিসিন) ছিলেন।
তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন। তার মেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন।
বিডিনিউজ২৪ডটকম থেকে
May his soul rest in peace.