১৩ জানুয়ারি ২০২০: ফাল্গুনী আলম। জন্ম ১২ মার্চ, ১৯৯২ সালে পটুয়াখালীর গলাচিপাতে। বেড়ে ওঠা পদ্মার পাড়ের জেলা ফরিদপুরের রােদ, বৃষ্টি আর ধুলাের সঙ্গে।
পড়াশোনা শেষ করেছেন ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর থেকে। শিক্ষানবিশ ডাক্তার হিসেবেই আছেন এখন এ হাসপাতালে৷ তার আরেকটি পরিচয় আছে যার জন্য নিজ ক্যাম্পাসের বন্ধুবান্ধব ও সবার জাছে তুমুল জনপ্রিয়৷ তিনি হলেন একাধারে চিকিৎসক, লেখিকা এবং কবি।
জেনে নেয়া যাক এই নবীন চিকিৎসকের লেখক ও কবি হবার গল্পটি।
সাত বছর বয়স থেকেই বই এবং কলমের প্রতি নেশা ফরিদপুরের ফাল্গুনীর। পড়াশোনা করতে গিয়ে সখ্যতা অ্যাপ্রন এবং চলচ্চিত্র মানবতার। তার ঝোঁক মূলত নির্মাণ-ক্যামেরার দিকে। স্কুল জীবন থেকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লিখতেন। নিয়মিত ব্লগিং করেছেন ২০১৩ সাল পর্যন্ত।
পঞ্চদশী কবি হিসেবে ফাল্গুনী আলমের প্রথম প্রকাশনা ‘কাব্যধারিণী’ নামক কবিতা সংকলন প্রকাশিত হয় ২০০৫ সালে। ২০০৯ সালে প্রকাশিত হয় প্রথম একক বই কিশোর উপন্যাস “নিঃসঙ্গতা”। এরপর আসে ভৌতিক গল্প ‘কড়ে আঙুল’ (২০১০)। মধ্যখানে চিকিৎসাবিদ্যা পড়তে গিয়ে দীর্ঘ বিরতি লেখালেখিতে। দীর্ঘ নয়বছরের বিরতির পর আসে থ্রিলার উপন্যাস ‘ফ্লাইট-২১১’ (২০১৯), যা গতবছর একুশে বইমেলায় পেয়েছে পাঠকজনপ্রিয়তা।
ডা. ফাল্গুনী আলম স্বপ্ন দেখেন ভালাে কিছু করার এবং সাথে লেখালেখি চালিয়ে নেয়ার। এই বইটিও পাঠক সমাদৃত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন লেখক৷
নিজস্ব প্রতিবেদক/শেখ লুৎফুর রহমান তুষার