প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০, বৃহঃস্পতিবার
আজ ২৪ ডিসেম্বর কিংবদন্তিতুল্য অধ্যাপক ডা. মনছুর খলিল এর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। আজও তিনি চির স্মরনীয় হয়ে আছেন সকলের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায়।
অধ্যাপক ডা. মনছুর খলিল ১৯৬১ সালের ৫ ডিসেম্বর পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ডা. মিরাজ আহমেদ ছিলেন একজন সামরিক অফিসার। বাবার স্বপ্ন ছিল এই তুখোড় মেধাবী একদিন বড় সার্জন হবেন। কিন্তু এই নিবেদিতপ্রাণ কিংবদন্তী শিক্ষকতাকেই আপন করে নেন। ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর তিনি মাত্র ৫৫ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। মৃত্যু মানে কেবলই একটি জীবনের ইতি, একটি শরীরের পরিসমাপ্তি। তবে, কর্মগুণে মানুষ আজীবন থেকে যায় মানুষের মনে। এরই একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত অধ্যাপক ডা. মনছুর খলিল। শিক্ষার্থীদের চোখের জল আর কম্পমান ঠোঁট অনর্গল বয়ান দেয় তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। তিনি একাধারে একজন কিংবদন্তি চিকিৎসক, একজন তুখোড় মেধাবী ছাত্র, একজন আদর্শবান শিক্ষক যিনি শিক্ষার্থীদের সন্তান ভেবে নিজেকে তাদের বাবা বলেই সম্বোধন করতেন। তাঁর তুখোড় মেধা, তাঁর অভূতপূর্ণ সাফল্যের জন্য তিনি আজও স্মরণীয় হয়ে আছেন। খুব সাধারণ, সাদামাটা, প্রচার বিমুখ জীবনযাপন ছিল তাঁর। মৃত্যুর পর যিনি ব্যাংকে রেখে গিয়েছিলেন মাত্র ২ হাজার টাকা। সারাজীবনের অর্জিত সব অর্থই তিনি ব্যয় করে গেছেন শিক্ষার্থীদের জন্য ও অসহায় মানুষের জন্য। এনাটমির এই কিংবদন্তী শিক্ষক ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৪টি মেডিকেলের মধ্যে রেকর্ড নাম্বার পেয়ে ১ম স্থান অধিকার করেছিলেন। জাপানে পিএইচডির পর গবেষণার জন্য উচ্চ পারিশ্রমিক এর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি দেশে ফিরে আসেন তাঁর শিক্ষার্থীদের টানে। আজও তাঁর প্রয়াণ দিবসে তাঁর সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের চোখ জলোচ্ছ্বল থাকে। কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন মেডিকেলে পোস্টিং নিলেও জীবনের শেষ দিকে তিনি নতুন স্থাপিত কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন, ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ।
আজ তাঁর পঞ্চম মৃত্যুদিবসে তাঁকে সকলেই স্মরণ করছে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসায়।
ক্যাম্পাস রিপোর্টটার
মাইসা অন্তু