প্ল্যাটফর্ম নিউজঃ বুধবার, ১০ জুন, ২০২০
স্থান সিলেট। ভদ্রলোকের বয়স ২৯ বছর। তিনি রাগ করে ড্রেসিং টেবিলে ঘুষি দিয়েছিলেন এক মাস আগে। চোট লেগেছিলো বাম হাতের বাহুতে। বাহ্যিকভাবে ইঞ্জুরি সামান্য মনে হওয়ায় গেলেন এলাকার ফার্মেসীতে। যথারীতি তাকে এন্টিবায়োটিক ও ব্যথার ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা দিয়ে দিল তারা। বাইরে দিয়ে তার চামড়ার ক্ষত শুকিয়ে যায়। কিন্তু এক মাস পরও ভিতরে তীব্র ব্যথা। হাত দিয়ে কিছুু বোঝার উপায় নেই।
অতঃপর রোগী ডা. জোবায়ের আহমেদের চেম্বারে গেলেন। তিনি পরীক্ষা করে দেখলেন ভিতরে লম্বা কিছু লুকিয়ে আছে। তারপর এক্সরে করতে বললেন। এক্সরে রিপোর্টে ডাক্তারের সন্দেহই ঠিক প্রমাণিত হলো।
তারপর ডা. জোবায়ের আহমেদ ছোট অপারেশনের মাধ্যমে বের করে আনলেন লুকানো কাচের টুকরা, যা মাংশপেশির নিচে বসে রোগীকে যন্ত্রনা দিচ্ছিলো সেই একমাস ধরে। বেশ বড়ই ছিল কাঁচের টুকরাটা।
ফার্মেসির ভুল চিকিৎসার কারণে এই রোগীকে দীর্ঘ একমাস ভোগান্তিতে থাকতে হল। এই কাঁচের টুকরা তার শরীরে থেকে অনেক বড় বিপদ বা জটিল কোন ইনফেকশন হতে পারতো। সুতরাং ফার্মেসিতে বলে এন্টিবায়োটিক কিনে খেলেই সব রোগ সেরে যায় না – এই উপলব্ধি থাকা এখন সময়ের দাবি।