মানুষ বনাম ব্যাকটেরিয়া যুদ্ধের শুরু সেই হাজার বছর আগে থেকেই। এবং মানুষ নির্মমভাবে পরাজিত হয়ে এসেছে বারবার ব্যাকটেরিয়ার হাতে।
মাত্র ৯৭ বছর আগের কথা। স্কটল্যান্ডের কৃষক ঘরের এক ছেলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মিত্রবাহিনীর ক্যাপ্টেন ছিল। আবার অন্য দিকে এই ছেলে ছিল ১৯০৮ সালের লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল্ড মেডেলিস্ট MBBS। এই তরুণ ডাক্তার ১৯২১ সালে একদিন পৃথিবী কাঁপানো এক আবিষ্কার করে লাইসোজাইম নামের এক এনজাইম। ঠিক ৭ বছর পরেই ১৯২৮ এ সেই হাজার বছরের পুরনো মানুষ-ব্যাকটেরিয়া যুদ্ধে মানুষের পক্ষে প্রথম এবং সম্ভবত শেষ প্রতিরক্ষা কবচ ভুলবশত আবিষ্কার করেন “পেনিসিলিন” নামে। এই আবিষ্কারের আকস্মিকতায় এই তরুণ ডাঃ ফ্লেমিং বলেন “One sometimes finds what one is not looking for”। এরপর একে একে সালফোনামাইড, স্ট্রেপ্টোমাইসিন, ক্লোরামফেনিকল, টেট্রাসাইক্লিন আবিষ্কারের পরে ১৯৪২ এ স্যালম্যান ওয়াক্সম্যান “ANTIBIOTICS” নামের একটা শব্দ উচ্চারণ করেন এই প্রতিরক্ষা কবচের নাম হিসেবে।
এই বিজয়ের অর্ধশত বছর পরে আশির দশকে হঠাৎ চীনে আমাদের অস্ত্র প্রথম ব্যর্থ হয়েছে বলে বলাবলি শুরু হল। দ্রুত গবেষণা শুরু হলো ব্যর্থতার কারণ নিয়ে। একের পর এক আমাদের চোখে ধরা পড়তে লাগল আমাদের দুর্বলতা আর ব্যাকটেরিয়ার চালাকি। দেখা গেল এই যুদ্ধের “লর্ড ক্লাইভ” কিছু অতিচালাক ব্যাকটেরিয়া আর “মীর জাফর-রায়দুর্লভ-জগৎশেঠ” হল আমাদের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার, দ্রুত আরোগ্যের লোভ আর অসচেতনতা। ২০০৮ সালে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করলো যে আমাদের শক্তিশালী মানবের রক্ষাকবচ নবাব “এন্টিবায়োটিকের” শীঘ্রই পতন হতে চলেছে, কারণ ইতোমধ্যে সর্বঅস্ত্রবিরোধী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির “SUPERBUG” চারটি মহাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তারা এই সুপারবাগ তৈরির কারণ হিসেবে বলেছে- যুদ্ধের বিভিন্ন পর্যায়ে একে একে ব্যবহৃত আমাদের অস্ত্রের সর্বশেষ ছিল কার্বাপেনেম। এই কার্বাপেনেম রেসিস্ট্যান্স ব্যাকটেরিয়া যখন পূর্বের মানববিরোধী অস্ত্র কলিস্টিন রেসিস্ট্যান্ট জিনকে গ্রহণ করে নেয়, তখনই তৈরি হচ্ছে এই superbug রা। সেই থেকে আমাদের স্বাধীনতার সূর্য অস্ত হয়ে চলেছে আজ পর্যন্ত।
সপ্তাহখানেক বয়সের বাচ্চা হাসপাতালের বেডে মায়ের কোলে প্রচন্ড জ্বরে কাতরাচ্ছে। সেই বেডের পাশে ৯৫ বা ১০০ ভাগ এন্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্সের কালচার সেন্সিটিভিটি রিপোর্ট পড়ে রয়েছে—এই দৃশ্য অচেনা নয় আমাদের এই যুগে। ধারণা মোতাবেক আর ৫০ বছরেই সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিধ্বস্ত হয়ে যাবে আমাদের। তাই সেই ভয়াবহ মৃত্যুময় ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি ক্রমাগত এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্সের বিরুদ্ধে।
এবার আসি এই যুদ্ধের অন্তরালের ঘটনায়। সময়টা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মধ্যকার ১৯১৪। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজির অধ্যাপক ফ্রেডরিক উইলিয়াম টোয়র্ট গরুর চামড়ায় পক্স ভ্যাক্সিন দেয়ার পরে খেয়াল করেন যে ঐসব স্থানে স্ট্যাফাইলোকক্কাস জড়ো হচ্ছে। ধারনা করলেন ভ্যাক্সিনিয়া ভাইরাস বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ এই স্ট্যাফাইলকক্কাসের ভেতরে আছে বলে এসবকে সেখানে জড়ো করছে ভাইরাসটি। পরে তিনি প্যাট্রিডিশে নিউট্রিয়েন্ট এগারে স্মল পক্স ভ্যাক্সিন নিয়ে দেখলেন সেখানে বিভিন্ন রঙের ব্যাকটেরিয়া জড়ো হচ্ছে। মাইক্রোস্কোপে দেখেন যে কিছু গ্লাসি জিনিস ছড়িয়ে আছে এগুলোর পাশে যা আলাদা ভাবে কখনোই দেখেননি। তার মানে এই জিনিসগুলো in vitro তেই তৈরি হয় শুধু যা আমাদের শরীরের কোষ নয় বরং ব্যাকটেরিয়ার নির্দিষ্ট এনজাইমের উপর নির্ভরশীল। টোয়র্ট বলেন এসব পার্টিকেলের অধিকাংশই পর্সেলিন ফিল্টার দিয়েও বেরিয়ে যায়। তিনি একটি গবেষণামূলক বই লিখেন The Contagion as The Bacteriolytic Agent নামে। এটি বিজ্ঞানমহল গ্রহণ করেনি।
১৯১৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ফরাসী সেনাবাহিনীতে কর্মরত মাইক্রোবায়োলজিস্ট ল্যাব এসিস্ট্যান্ট ফেইলিক্স ডি’হ্যরেল্লে একই জিনিস আবিষ্কার করেন এক শিগেলারী ডিসেন্ট্রির পেশেন্টের মল থেকে। ১৯১৯ এ একই রকম জিনিস পান মুরগির বিষ্ঠা থেকে। তিনি এই জিনিসগুলাকে কোন নাম দিতে পারেন নি। হ্যরেল্লে চিকেন টাইফাস এর বিরুদ্ধে এই বস্তুকে লেলিয়ে দেন এবং চমৎকার ভাবেই কোন ভ্যাক্সিন ছাড়াই মুরগী টাইফাস থেকে বেঁচে ওঠে। মাইক্রোবায়োলজিস্টদের চক্ষু চড়কগাছ। এমন আলাদীনের প্রদীপ পেয়ে যাবে স্বপ্নেও ভাবেনি কেউ। খেয়াল রাখবেন যে, তখনো এন্টিবায়োটিক নামের কিছু মানুষ হাতে পায় নি এবং এডওয়ার্ড জেনারের স্মল পক্স ভ্যাক্সিন ছাড়া আর কোন ভ্যাক্সিন চিনত না মানুষ। এমন সময় হঠাৎ এই প্রাকৃতিক অস্ত্রের আবিষ্কার। ১৯১৯ সালেই প্রথম শিগেলারী ডিসেন্ট্রির রোগীকে এই আইসোলেটেড জিনিস খাইয়ে দিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুলেন হ্যরেল্লে। ১৯২০ সালে কলেরা এবং প্লেগের উপর গবেষণা শেষে ১৯২১ সালে এই বিনা বেতনের ল্যাব এসিস্ট্যান্ট, প্রখ্যাত বায়োলজিস্ট এডোয়ার্ড পোজেরাস্কির অনুপ্রেরণায় একটি মনোগ্রাফ বের করে The Bacteriophage: Its Role in Immunity নামে। এই বইতে তিনি ব্যাক্টেরিওফাজ দিয়ে ব্যাকটেরিয়া নিধন পদ্ধতিকে Phage Therapy নামে বলেন। কিন্তু ১৯৩৯ এ জার্মান গবেষক হেলমুট রুস্কা ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপে এগুলোকে দেখার আগ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা এই ব্যাকটেরিওফাজের অস্তিত্ত্ব নিয়ে সন্দেহে ছিলেন। হ্যরেল্লে বলেন শুধুমাত্র এক প্রজাতির ফাজ দিলে রেসিস্ট্যান্ট হতে পারে তাই কয়েক প্রজাতির ফাজ মিশিয়ে “ফাজ কক্টেল” দেয়া উত্তম। বর্ডাটেলা ব্যাক্টেরিয়ার আবিষ্কারক জুলস বর্ডেট পুরনো নথি ঘেঁটে সেই ১৯১৪ এর ফ্রেডরিক টোয়র্ট এর গবেষণা লোকের সামনে এনে ওনাকে প্রথম আবিষ্কারকের সম্মান দেন। হ্যরল্লের বন্ধু এলিয়াভা ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা জর্জ এলিয়াভা এই আবিষ্কারকে পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দেন।
অন্যদিকে সুলভ এন্টিবায়োটিকের জয়জয়াকারের কারণে ফাজ থেরাপির ব্যাপার খানিকটা চাপা পড়ে যায়। তবে স্নায়ু যুদ্ধের সময় রাশিয়া আর জর্জিয়া ব্যাপকভাবে এর ব্যবহার চালাতে থাকে। একে একে ক্যম্ফাইলোব্যাকটার, লিস্টেরিয়া, সালমোনেলা, ভিব্রিও, জেন্থোমোনাস, এশ্চেরেচিয়া, ল্যাকটোকক্কাস, স্ট্রেপটোকক্কাস, স্টেফাইলোকক্কাস এর বিরুদ্ধের ফাজ থেরাপি ব্যাপকভাবে সফল হয়।
ফাজ থেরাপির সুবিধা হলো এরা ব্যাকটেরিয়ার মিউটেশনের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেরা মিউটেশন ঘটায় তাই ব্যাকটেরিয়ারা এদের হাত থেকে বেঁচে যেতে পারেনা। এরা এমন সব অংশে দ্রুত প্রবেশ করতে পারে যেখানে এন্টিবায়োটিক মলিকিউল সহজে পারেনা যেমন অস্থিকোষ, মস্তিষ্কের পর্দা ইত্যাদি। এরা আমাদের দেহকোষকে আক্রান্ত করে না বা প্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়াদের মারে না তাই সুপার ইনফেকশন বা সাইড ইফেক্টের সম্ভাবনা নাই বললেই চলে।
ফাজ থেরাপির অসুবিধা হলো এটি খুবই ন্যারো স্পেকট্রাম তাই অনেক যাচাই বাছাই করে সুনির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়ার জন্য প্রযোজ্য ফাজ বের করে নিতে হয়। এন্টিবায়োটিকের চেয়ে প্রস্তুত খরচ বেশি বলে এটি তুলনামূলক দুর্লভ। এগুলোর কালচারের জন্য স্যম্পল কালেকশন করতে হয় নালা নর্দমার নোংরা পানি থেকে। আর ফাজের শেলফ লাইফ ১৪ মাস, তাই এগুলোকে ঘন ঘন পরিবর্তন করতে হয় এন্টিবায়োটিকের তুলনায়।
বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে ভাল ফাজ থেরাপি দেয় জর্জিয়ার এলিয়াভা ইন্সটিটিউট। রাশিয়াতে কিছু প্রতিষ্ঠানও এটা দিয়ে যাচ্ছে। ২০০৭ সালে লন্ডনের Royal National ENT Hospital এ সিউডোমোনাস অরিজিনোসার বিরুদ্ধে প্রথম ফাজ কক্টেল থেরাপি প্রয়োগ করে ১০০ ভাগ সফলতা পাওয়া যায়। ২০০৯ এ দ্বিতীয় ধাপে পরীক্ষাতে সফল হবার পরে Intralytix নামের এক ইউরোপিয়ান কোম্পানি এই থেরাপি দিয়ে আসছে।
যেসব ব্যাকটেরিয়ারা রেসিস্ট্যান্ট হয়ে গেছে বলে বিজ্ঞানীরা ১০০ ভাগ নিশ্চিত তাদের ESKAPE pathogens বলা হয় (Enterococcus faecium, Staphylococcus aureus, Klebsiella pneumoniae, Acinetobacter baumannii, Pseudomonas aeruginosa and Enterobacter sp.)। এদের ক্ষেত্রে ফাজ থেরাপি অবিশ্বাস্য রকমের ফলাফল দেখায়। ব্যাকটেরিয়ার ভেতরে গঠিত নতুন ফাজ রা তাদের লাইটিক চক্রে দুই প্রকার মলিকিউল ব্যবহার করে ব্যাকটেরিয়ার কোষ পর্দা ছিড়তে। প্রতিটা ফাজ কয়েকপ্রকারের এন্ডোলাইসিন বানায়। সম্প্রতি রকেফেলার ইউনিভার্সিটির গবেষণায় দেখা গেছে যে মেথসিলিন রেসিস্ট্যান্ট MRSA এর বিরুদ্ধে বানানো লাইসিনটি কোড করার জিন হল cysteine-histidine-dependent amido hydrolase/peptidase (CHAPK)। তাই এই লাইসিন ল্যাব এ বানানো গেলে MRSA এর বিরুদ্ধে ফাজের প্রয়োজন নাও হতে পারে বলছেন বিজ্ঞানীরা। এজন্য ফাজ থেকে আলাদা করা এনজাইম কে enzybiotic নামে ঘোষণা করছেন তাঁরা। ২০১৫ তে এক আমেরিকান গবেষণায় এই আলাদা লাইসিন দিয়ে ইঁদুরে মাল্টি ড্রাগ রেসিস্ট্যন্ট A. baumannii আর Streptococcus pneumonia এর সফল পরীক্ষা হয়েছে। গত বছর এপ্রিলে University of California San Diego School of Medicine এর বিজ্ঞানীরা টম পিটারসন নামের এক সাইকিয়াট্রির প্রফেসরের MDR Acinetobacter baumannii ইনফেকশন সম্পুর্ণ ভাল করেন ফাজ থেরাপি দ্বারা।
২০১৬ তে ক্রান্তীয় অঞ্চল হিসেবে ম্যাক্সিকো আর বাংলাদেশে ১২০ জন বাচ্চার উপর enterotoxogenic E.coli এর জন্য জর্জিয়ায় প্রস্তুতকৃত ফাজ কক্টেল প্রয়োগ করে কোন উল্লেখযোগ্য সমাধান পাওয়া যায় নি। কারণ, একই ব্যাকটেরিয়া প্রকৃতিগত ভিন্নতার কারণে এক ফাজ দিয়ে আক্রান্ত হয় না। তাই আমাদের দেশের ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে আমাদের আবহাওয়াতেই ফাজ থেরাপি দিতে হবে। শীত প্রধান দেশের ফাজ গুলো তাদের আবহাওয়াতেই ফলপ্রসূ হবে।
বিজ্ঞানীরা এই ব্যাপারে এতটা আশাবাদী হবার পরেও Food and Drug Administration (FDA) এখনো ফাজ থেরাপিকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না। কারণ, FDA এমন কিছু স্বীকৃতি দেয় না যা দ্বারা কোন প্যাটেন্ট কোম্পানির অর্থনৈতিক লাভ হবে না। আর পৃথিবীর প্রত্যেকটা জাতির জন্য ফাজ থেরাপির ক্ষেত্রে প্রি ক্লিনিক্যাল টেস্ট এখনো সম্পন্ন হয় নি।
অনুসন্ধিৎসুদের মনে একটি প্রশ্ন আসতে পারে, এই এন্টিবায়োটিকের মত ফাজ থেরাপি কি কখনো রেসিস্ট্যান্ট হবে কিনা। উত্তরে বলা যায়- হতেও পারে। তবে এই ব্যাকটেরিওফাজরা “যেমন কুকুর তেমন মুগুর” টাইপের মিউটেশনের ফলে শত শত বছর লেগে যাবে রেসিস্ট্যান্ট হতে। আর যদি রেসিস্ট্যান্ট হয়েও যায় অর্থাৎ ফাজ রেসিস্ট্যান্ট সুপারবাগ তৈরি হয় তবেও আরেকটি উপায় আছে। গবেষনায় দেখা গেছে ব্যাকটেরিয়াদের একটা স্বভাব আছে- একদিকে রেসিস্ট্যান্ট বাড়লে অন্য কিছুর জন্য কমবে। যখন ব্যাকটেরিয়ারা ফাজ রেসিস্ট্যান্ট হবে তত দিনে এন্টিবায়োটিক সেন্সিটিভ হয়ে পড়বে নির্ঘাত। হয়ত তখন আবার সাধারণ এমোক্সিসিলিনের দিন আমরা ফিরে পাব। মনে রাখতে হবে যে, এই ফাজ থেরাপি প্রাক এন্টিবায়োটিক যুগের আবিষ্কার যা এখনো পর্যন্ত রেসিস্ট্যান্স বিহীন হয়ে সগর্বে টিকে আছে এবং থাকবে আমাদের শেষ ব্রহ্মাস্ত্র হিসেবে। আমাদের জ্ঞানীগুণী গবেষক, ডাক্তার এবং ফার্মা গুলোকে এই ফাজ থেরাপির গবেষণায় দেশভিত্তিক লোকাল ইমপ্রুভমেন্টের জন্য এখনি এগিয়ে আসা উচিৎ।
ডাঃ আসির মোসাদ্দেক সাকিব
চমেক ১১-১২
প্ল্যাটফর্ম ফিচার / সামিউন ফাতীহা
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, গাজীপুর