এফসিপিএস ও এমডি সুবিধা এবং অসুবিধা
এফসিপিএস
সুবিধাঃ
১.ইন্টার্ণ শেষ করার পরপরই পার্ট ১ দেয়া যায়।১ বছর অপেক্ষা করা লাগে না।
২.চার বছরের কোর্স।ইন্টার্ন শেষ করেই ট্রেনিং শুরু করলে ৪ বছর পর পরীক্ষা দিয়ে পাস করলেই শেষ।ততদিনে এম ডি কোর্সের কেবল “ফেইজ এ” শেষ হবে।
৩.নিজের ইচ্ছামত ভাল ভাল ইন্সটিটিউট এ ট্রেনিং করা যায়।
৪.ট্রেনিং এর সময় চাইলে বাইরে ডিউটি, চেম্বার করা যায়।
৫.চার বছর শেষে একটাই পরীক্ষা।
৬.কোর্স আউটের ভয় নাই।
৭.ট্রেনিং এর সময় কোন কোন জায়গায় সপ্তাহে ৪ দিন গেলেও হয়।
৮.এক বছর ট্রেনিং করে এমসিপিএস দেয়া যায়।
অসুবিধাঃ
১.ট্রেনিং কালীন কোন ভাতা পাওয়া যায় না।
২.কোর্সে না গেলে স্যাররা ক্লাস নেন না।
৩.সুপারভিশন নাই।
৪.বিসিএস থেকে ট্রেনিং পোস্টে আসা ডিফিকাল্ট।মামা,চাচার,টাকার জোর লাগে।
৫.পাসের হার কম।তবে,গত কয়েক সেশনে ২য় পর্বে পাসের হার বেড়েছে।তাছাড়া,একবার রিটেন পাশ করলে ৩ বার ভাইভা দেয়া যায়।
এম ডি(রেসিডেন্সী)
সুবিধাঃ
১.ট্রেনিং কালীন ভাতা পাওয়া যায়।
২.স্যাররা ক্লাস নেওয়ার চেষ্টা করেন।
৩.ট্রেনিং পোস্টে বিসিএস থেকে আসা সহজ।
৪.৩ মাস পর পর পরীক্ষা(ব্লক ফাইনাল) থাকে।নিজেকে এসেসমেন্ট করা সম্ভব।
৫.যাদের বিসিএস আছে তাদের জন্য ভাল প্রোগ্রাম।
অসুবিধাঃ
১.ইন্টার্ন করার প্রায় ১৮ মাস পর কোর্স শুরু হয়।
২.দুইটা পরীক্ষাঃ ফেইজ এ ইন্টারনাল মেডিসিন/জেনারেল সার্জারি ,ফেইজ বি নিজের সাবজেক্ট।
৩.১০ হাজার টাকা দিয়ে একজনের পক্ষেই চলা ডিফিকাল্ট, তার উপর বাইরে চেম্বার,ক্লিনিক করা যায় না।চেম্বার,ক্লিনিক করলে পড়াশুনা হবে না।পড়াশুনা না করলে ব্লকে পাস হবে না।
৪. ৪ বছরের(২ বছর ট্রেনিং + ২ বছর পরীক্ষা)মধ্যে ফেইজ এ ক্লিয়ার করতে হবে।ফেইজ এ সর্বোচ্চ ৪ বার দেওয়া যায়।এর মধ্যে পাস করতে না পারলে কোর্স আউট,সাথে ২ বছরের ট্রেনিং কোন কাজে লাগবে না।
৫.ট্রেনিং পিরিয়ডে ইন্টার্র্নির মত কাজ করা লাগে অর্থাৎ কাজের অনেক চাপ।
৬.পাসের হার আগে ভাল থাকলেও গত বছর থেকে পাসের হার অনেক কম।যেমন,এই জানুয়ারিতে BSMMU র ইন্টারনাল মেডিসিন ফেইজ এ ১১ জন পরীক্ষা দিয়ে ২ জন পাস করছে।
৭.কোন ব্লক যদি রিপিট করা লাগে তাহলে অটোমেটিক ৬ মাস লস।ফেইজ এ দেয়ার সুযোগ ৪ বার থেকে কমে ৩ বারে নেমে আসে।
৮.প্রতিদিন যাওয়া লাগে,ইভেন শুক্রবারেও ডিউটি থাকে।
………
ডা. আমিনুল্ল ইসল্লাম
সিলেট মেডিকেল কলেজ
৪৬ তম ব্যাচ,২০০৭-০৮
জানলাম। ধন্যবাদ