একজন ভদ্রলোক, সে যে পেশারই হোক না কেন,
১) যখন তাকে তার কর্মস্থলে নারী কেলেংকারির মত স্পর্শকাতর বিষয়ে অভিযুক্ত করা হয়,
২) সে দায়ে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করা হয়,
৩) কর্তব্যরত অবস্থায় তাকে দুশ্চরিত্র অপবাদ দিয়ে বাধ্যতামূলক ছুটিতে প্রেরন করা হয়,
৪) দোষী সাব্যাস্ত হওয়ার আগেই যখন তার বিচার ও অপসারনে গনমাধ্যম সোচ্চার হয়,
তখন তার জীবনে কি অভিশাপ নেমে আসে, তার কি কোন ধারনা আমাদের আছে?
শুধু তাই নয়, যদি আত্তীয়-সজনের মধ্যে কেউ আকারে ইংগিতে বোঝাতে চেস্টা করে যে এত জন চিকিৎসকের মধ্যে ওর ব্যাপারে কেন এমন অভিযোগ উঠল, তবে তার কি কোন ব্যাখ্যা থাকে?
তার সহধর্মিণীকে কর্মক্ষেত্রে যদি কেউ সান্ত্বনা দিতে যায়, তখন তার মানসিক অবস্থা কেমন থাকে?
যদি তাকে দেখে কেউ কেউ বাকা চোখে তাকায় বা মৃদু সরে ফিসফিস করে কথা, তবে কেমন লাগে?
আপনারা অনেকেই ভাবছেন আপনি অনেক ভাগ্যবান যে কর্মক্ষেত্রে আপনার সাথে এমন বিড়ম্বনা ঘটেনি অথবা কেউ ভাবছেন যে আপনার সামি অনেক চরিত্রবান যে দায়িত্ব পালনে কখনও এমন ঘটনার সম্মুখিন হতে হয়নি।
আসলে কি তাই?
যারা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করে নিজের মনে নিজেই আপ্লুত হচ্ছেন, হয়ত পরের বার আপনার ক্ষেত্রেই তার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে যদি এখনই চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপওার ব্যাপারে আমরা সোচ্চার না হই।
একজন কর্তব্যরত চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি সম্পুর্ন অন্যায়ভাবে এমন শারীরিকভাবে নিগৃহীত হয়, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়, মানসিকভাবে পর্যুদস্ত হয়-তবে সেখানে চিকিৎসা সেবা প্রদান তো দূরের কথা, মান-সম্মানের সাথে সমাজে বসবাস করাই হুমকির মুখে।
আমাদের সমাজে এসব ক্ষেত্রে সবসময় নারীদের প্রতি public sentiment বেশি কাজ করে, সেটাই সাভাবিক। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে ডা. মোস্তফা কামাল ভাইয়ের ক্ষেত্রে যে নারী এমন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সমস্ত নারী সমাজকে কলংকিত করেছে, তার নামও কেউ জানেন না।
চ.বি তদন্ত কমিটিকে অত্যন্ত দায়িত্বের সাথে এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদানের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। ঘটনার ১০ দিনের মাথায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের নেতৃত্বে ‘যৌন নিপীড়িন প্রতিরোধ সেল’
ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শী, চিকিৎসক, অভিযোগকারী ছাত্রী(রোগী) ও চিকিৎসকের সাথে থাকা স্টাফদের সাথে কথা বলে এই তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেন।
উল্লেখ্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট এই চ.বি তদন্ত কমিটিতে কোন চিকিৎসককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
সর্বোপরি যারা ডা. মোস্তফা কামাল ভাইকে শারীরিকভাবে প্রহৃত করেছে তাদের দৃস্টান্তমুলক শাস্তি চাই। সি.সি.টি.ভি’র ফুটেজ দেখে সবার চেহারা চিনহিত করা সম্ভব।
যে ছাত্রী এমন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ডা. মোস্তফা কামাল ভাইকে হয়রানি করেছে এবং সমগ্র চিকিৎসক সমাজকে প্রস্নবিদ্ধ করেছে, তার মুখোশ উন্মোচন করা হউক।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক ভাইদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।
কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপওা রক্ষায় এবং
‘চিকিৎসা সুরক্ষা আইন-২০১৬’ নামক কাল আইন বাতিলে সকল চিকিৎসককে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
লেখক: ডাঃ সৌমিত্র বড়ুয়া
মেডিকেল অফিসার, কর্নফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড, রিসার্চ ফিজিশিয়ান, মাহিদল- অক্সফোর্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন রিসার্চ ইউনিট, প্রাক্তন সহকারী সার্জন, রাউজান উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্স।
Vai parle oi semrir name subject session prokas koren.amra public share kori.or etoi lanchito howar shokh Jokhon.parle sobitao diyen
Onake baddhatamulok chutipe pathano hoyechilo, join kore aktu settle hok, dekhi arpor…
Why don’t he take any legal step against that girl? Manhani r mamla kora uchit ??
parte gele andolon e jete hobe…
andolon e koyjon doctor paben??
Bichar chai
সকল ব্যবস্থাই চিকিতসকদের বিরুদ্ধে,কোথায় যাবেন?যদি কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসক নিগ্রহ বিরোধি আইন করা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে।