প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ৩১ শে আগস্ট, ২০২০, সোমবার
আজ সকাল ১০ টা থেকে এমবিবিএস মে, ২০২০ সালের চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখরিত ছিল শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ। এ সময় সারা দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাস থেকে আসা শিক্ষার্থীরা সম্মিলিত কণ্ঠে স্লোগান আকারে নিজেদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। সকাল ১০ টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি দুপুর ২ টায় আজকের মতো সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
প্রথমআলো, সময় নিউজ, যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি সহ আরো কিছু প্রিন্ট মিডিয়া তাদের এই কর্মসূচি প্রচার করে। পাশাপাশি লাইভে গিয়েও এই কর্মসূচি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ভাষ্য অনুযায়ী, তারা অতিসত্বর চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষা দিয়ে তাদের ইন্টার্নশিপ শুরু করতে চান। দুপুর ১২ টা নাগাদ সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের পক্ষের প্রতিনিধিরা ডিন অফিসে গিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাত করে এই লাগাতার অনশন কর্মসূচির ব্যাপারে জানান।
তারা আরো জানান যে, যতদিন পর্যন্ত পরীক্ষার ব্যাপারে লিখিত আকারে কোনো সিদ্ধান্ত না আসবে তারা এই লাগাতার অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন। তাদের দাবি, দরকার হলে পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কার করে পরীক্ষা নেয়া হোক।
জানা গিয়েছে যে, করোনা ভাইরাসের কারণে গত মার্চ মাসে লকডাউনের শুরু থেকেই মে, ২০২০ এর এমবিবিএস চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষার্থীসহ অন্যান্য বর্ষের সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। আবার নভেম্বর, ২০১৯ এর চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষায় এক বা একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীরা তাদের সাপ্লিমেন্টারী পরীক্ষা নিয়েও আটকে রয়েছেন দীর্ঘ সময়, যা কিনা মে, ২০২০ এ শুরু হওয়ার কথা ছিল। এক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ে পরীক্ষা নিয়ে নেয়া হলে অনেকেই ইন্টার্নশিপে যোগ দিতে পারবেন।
পরীক্ষা দ্রুততম সময়ে না হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের চলমান ভোগান্তি সম্পর্কে ডিন মহোদয়কে অবগত করার পরে তিনি জানান যে, লিখিত নোটিশও পরে পরিবর্তিত হতে পারে। তিনি অক্টোবরে পরীক্ষা নেয়ার আশ্বাসের কথাও বলেন। কিন্তু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান যে, এরকম আশ্বাসের কথা গত জুন মাস থেকেই দেয়া হচ্ছে। মূলত তারা এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দাবিতে এই অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে চান।
জানা গিয়েছে যে, আগামীকাল সকাল ১০ টা থেকে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তারা এই লাগাতার অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
এছাড়াও, এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অনেককেই এ সংক্রান্ত প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে দেখা যায়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের এই আন্দোলন নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী বলে জানিয়েছেন।