প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন নিজের দেশের হাসপাতালেই চিকিৎসা নেবেন।
শুক্রবার গাজীপুরের কাশিমপুরে তেতুইবাড়িতে অবস্থিত মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়কেপিজে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গিয়ে একথা বলেন তিনি।
হাসপাতালের চিকিৎসাসেবায় সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি যদি কখনও অসুস্থ হয়ে পড়ি তাহলে আপনারা আমাকে বিদেশে নেবেন না। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ওঠাবেন না। আমি দেশের মাটিতেই চিকিৎসা নেব। এই হাসপাতালে চিকিৎসা নেব।”
বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট্রের পক্ষ থেকে হাসপাতালের ফান্ডে আরও ১০ কোটি টাকার অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু হাসপাতালটি আমাদের মায়ের নামে, তাই এখানে আমাদের পরিবারের সবাই অনুদান দেবে। আপনাদের এবং হাসপাতালের যে কোনো সমস্যা আমাদের নিয়মিত জানাবেন।’
চিকিৎসকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে উপস্থিত সবাই দেশের স্বনামধন্য ডাক্তার। যদি কোন ডাক্তার এখানে এসে চিকিৎসাসেবা দিতে আগ্রহী হন, তারা প্রতিদিন এখানে আসতে পারেন। এভাবেই আমরা এ হাসপাতালকে আরও উন্নত করে তুলতে পারবো। আমি বলতে চাই, জনগণের সেবা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
অবসরে যাওয়া দেশের ভালো ডাক্তারদের ওই হাসপাতালে যুক্ত করার কথা বলেও প্রধানমন্ত্রী।
মায়ের নামে এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এখান থেকে আমরা কোনো লাভ নিতে চাই না। আরও যে ১০ কোটি টাকার ফান্ড দেওয়া হবে তার লভ্যাংশ থেকে গরীব ও মুক্তিযোদ্ধাদের ফ্রি চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
এছাড়া আর্থিকভাবে অসচ্ছল রোগীদের সুবিধার জন্য প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসকদের ‘কনসালটেন্সি’ ফি কমানোর পরামর্শ দেন।
চিকিৎসাসেবা উন্নত করার জন্য হাসপাতালের ম্যানেজমেন্ট কমিটিকে নিয়মিত বৈঠক করার পরামর্শও দেন তিনি। এছাড়া অত্যাধুনিক ফার্মেসি, ট্রাস্টের অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার ও ফুলটাইম ডাক্তারের সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আরও আগেই আমার বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে এখানে আসার ইচ্ছা ছিল। আমরা চিন্তা করেছি, ভবিষ্যতে এখানে আমরা একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করব।যেহেতু দেশে জনসংখ্যার তুলনায় ডাক্তারের প্রয়োজন আরও রয়েছে। এছাড়া এখানে রয়েছে একটি আন্তর্জাতিক মানের নার্সিং ইনস্টিটিউট। কী করে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা আরও বেশি করে নিশ্চিত করা যায়, সেই চিন্তা থেকে আমাদের এই উদ্যোগ।”
২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠান কেপিজের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে এ হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়। এর নামকরণ হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের নামে, যিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা।
তিনি বলেন, “এই অঞ্চলের মানুষ শ্রমিক। এখানে সাধারণ মানুষের সংখ্যাই বেশি। তাদের চিকিৎসাকষ্ট লাঘব করা এবং চিকিৎসাসেবা দেওয়া আমাদের কর্তব্য। এছাড়া এই এলাকায় উন্নতমানের হাসপাতালের সংখ্যাও কম। সেই চিন্তা থেকেই এখানে এই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেই।”
এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, ডা. মো. হাবিব এ মিল্লাত এমপি, ডা. এনামুর রহমান এমপি, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ্, নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. দীন মো. নুরুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান, হাসপাতালটির সিইও জয়তুন সোলায়মান ও পরিচালক আরিফ মাহমুদ, হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সদস্য বায়েজিদ খুরশিদ রিয়াজ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগতম জানিয়ে, প্ল্যাটফর্ম পরিবার এবং বাংলাদেশের সকল চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
সুত্র ঃ বিডিনিউজ২৪.কম
শুধু প্রধানমন্ত্রী কেন আইন করা হোক যেসব চিকিৎসা এই দেশে হয় সেসব চিকিৎসার জন্য কোন এমপি, মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তারা দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
Egula sob hasina antir game..cricketer der hat korse..sorkari employer der hat korse..ekhon doctor der k hat kortese.. ?? onake diye e shombhob..
দেশে এখন মন্ত্রীর ভুল অপারেশন ধরে ফেলে মাইরপিট শুরু না করলেই হয়!! তবে এটা ভাল সিদ্ধান্ত। সাধারণ রোগীদের মত সরকারী হাসপাতালের মাটিতে চিকিতসা নিলে আরো ভাল হত। না হলে দেখা যাবে – প্রধানমন্ত্রীর হাচি উঠলে একশ রোগীর সিরিয়াল মিস হইলে তো কোন লাভের বদলে ক্ষতিই হবে বেশি।
এটি ব্যক্তি হাসিনার কথা নয়, এর মধ্য দিয়ে দেশের চিকিৎসকদের উপর ব্যাপক আস্থা প্রকাশিত হয়েছে। ইমেজ সংকটে ভোগা ডাক্তারদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। অযথা এটা নিয়ে খোঁচাখুচি করে নিজেদের দীনতাকে আমরা প্রকাশ না করি!