প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২ জুন ২০২০, মঙ্গলবার
প্রাণঘাতী করোনার মধ্যেই আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে নতুন করে ইবোলা ভাইরাস মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে। এতে ১৫ বছরের এক কিশোরীসহ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) জানায়, দেশটিতে এখন পর্যন্ত নয় জন আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে।
সোমবার (১ জুন) সিএনএন এ তথ্য জানায়। এক বিবৃতিতে ইউনিসেফ জানায়, আরও যে চার জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন এবং মৃতদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন, তাদের মবানডাকার ওয়াঙ্গাতা হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছে। ওই পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে ১৮ মে থেকে ৩০ মের মধ্যে কিন্তু সোমবার নিশ্চিত করা হয় যে, তারা ইবোলায় মারা গিয়েছেন।
সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাসচিব তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস এক টুইটে জানান, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ইকুয়েটর প্রদেশের মবানডাকায় ছয় জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে কঙ্গোতে একাদশ বারের মতো প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলো যা শরীরের তরল অংশ দ্বারা প্রভাবিত হয়। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর হার ২৫ থেকে ৯০ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের দীর্ঘ, কঠিন ও জটিল ইবোলা প্রাদুর্ভাবের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে এই ঘোষণাটি এসেছে, দেশটি কোভিড -১৯ এবং বিশ্বের বৃহত্তম হামের প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধেও লড়াই করছে।” বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মধ্য আফ্রিকার দেশটিতে করোনভাইরাসে ৩১৯৫ জনের আক্রান্ত এবং ৭৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কঙ্গোর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মারাত্মক মহামারীটি হল হাম, যা ২০১৫ সাল থেকে প্রায় ৩৭০,০০০ মানুষকে সংক্রামিত করেছে এবং ৬৭৭৯ জনের প্রাণ নিয়েছে।
ইবোলা ভাইরাস বাদুড়ে বাস করে, এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে কঙ্গোতে নতুন প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
২০১৫-২০১৬ সালে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়া, সিয়েরা, লিওন এবং গিনিতে ইবোলার সবচেয়ে বড় মহামারীটি দেখা যায়। এই মহামারীটিতে ২৮,০০০ জনেরও বেশি লোক সংক্রামিত হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে ১১,০০০ জনের ও বেশি লোক মারা গিয়েছিল।
তথ্যসূত্র/ সিএনএন