প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২০ এপ্রিল, ২০২০, সোমবার:
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
উচ্চঝুঁকির ব্যক্তিদের চাই বিশেষ পরিচর্যা। তাদের রক্তের গ্লুকোজ, রক্তচাপ নিয়মিত দেখা উচিৎ। একাকী বাস তাদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জের।
গত বছর নভেম্বরে পৃথিবী প্রথম জানলো করোনা ভাইরাসের কথা। আবির্ভাব ঘটলো চীনের হুবেই প্রদেশে উহান নগরীতে। ২০ জানুয়ারী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ কে জরুরি জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে ঘোষণা দিলেন।
ভাইরাসটি রেস্পিরেটারি ভাইরাস পরিবারের সদস্য। সচরাচর উপসর্গ হল- জ্বর, ক্লান্তি, শুকনো কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ব্যথা, বেদনা, কোন কোন ক্ষেত্রে তরল মল, বমি ভাব, নাক দিয়ে জল ঝরা। অনেকের হতে পারে স্বাদ চেতনার আর গন্ধ চেতনার পরিবর্তন। আগের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে ৮৪ শতাংশের হয় মৃদু অসুখ, ১৫ শতাংশের দরকার হয় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া, ৫ শতাংশ গুরুতর পরিস্থিতির শিকার হন আর প্রয়োজন হয় নিবিড় পরিচর্যা। আর ১-৩ শতাংশ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
সাধারণত ষাটোর্ধ ব্যক্তি যাদের আগে থেকে ক্রনিক অসুখ আছে যেমন ডায়েবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের রোগ, কিডনির রোগ আছে এদের ঝুঁকি বেশি। এদের মধ্যে মন্দ পরিণতির আশঙ্কা অন্যদের চেয়ে ২-৩ গুন বেশি। আর যেহেতু এই ভাইরাস আক্রমণ করে ফুসফুস, তাই যাদের ফুসফুসের ক্রনিক অসুখ আছে এদের ঝুঁকি খুব বেশি।
তাই ডায়েবেটিসের রোগী কি করবেন? মিল টাইমিং যেন ঠিক থাকে। স্বাস্থ্যকর আর পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। প্রচুর জল পান করতে হবে। ডায়েটে যেন থাকে প্রচুর আঁশ, ভিটামিন, খনিজ, এনটিঅক্সিডেন্ট। রোদের আলো আর সাপ্লিমেন্ট থেকে পাওয়া যাবে ভিটামিন-ডি। খেতে হবে অনেক ফল-সবজি, খেতে হবে পর্যাপ্ত আমিষ। চিনি, ময়দা বাদ। থাকবে লাল চাল, লাল আটা, হেলদি ফ্যাট। চলবে ব্যায়াম/ ট্রেড মিল, হাঁটা, স্কিপিং, স্ট্যাটিক সাইক্লিং, ইয়গা। চাপ কমাতে হবে। ইনডোর ক্রীড়া যা পছন্দ খেলা যাবে। গান শোনা, বই পড়াতেও অভ্যস্ত হওয়া যায়। ওষুধপত্র যেন ঠিক থাকে, আগে একটু মজুদ রাখা ভাল । জরুরি হলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রাখুন। না নিয়ে থাকলে ফ্লু আর নিউমোনিয়া শট নেয়া উচিত।