প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২০ অক্টোবর ২০২০, মঙ্গলবার
ডা. মুক্তা সারওয়ার
সহকারী অধ্যাপক, এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দিনাজপুর।
গতমাসের করোনা ওয়ার্ডে রাউন্ড দেওয়ার পূর্বে বেশ টেনশনে ছিলাম। শুনলাম অনেক রোগী। রাউন্ডে যেয়ে দেখি বেড সব ভর্তি। ফ্লু- কর্নার রোগী উপচিয়ে বিএমএ ভবন পর্যন্ত ভর্তি রোগী। এদের অনেকের অবস্থা বেশ সংকটাপন্ন ছিলো এবং অনেকের অক্সিজেন লাগছিলো। আজকে আবার করোনা ওয়ার্ডে রাউন্ড দিলাম। বিএমএ ভবন দূরে থাক, ফ্লু- কর্নারে অল্প কয়েকজন রোগী। তার মধ্যে অক্সিজেন লাগছে শুধু একটি রোগীর। দেড় মাসের মধ্যে করোনা পরিস্থিতির বেশ বড় একটা ফারাক।
তবে কি হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করে ফেলেছি?? আমার তা মনে হয়না। তারচেয়ে আমার মনে হয়, ভাইরাসটির ভিরুলেন্স অনেক কম। আমার অনলাইন চেম্বারের অনেক রোগী বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত বেশ কয়েকজন পরিচিত চিকিৎসকও বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা বাসায় রেমডেসিভির, ইনোক্সাপারিন, অক্সিজেন সব নিচ্ছেন। অনেকেই আরটি-পিসিআর করান নি। তাই আমি মনে করি করোনা বহাল তবিয়তে আছে, বেশ ভালো ভাবেই আছে। বরঞ্চ আগের চেয়ে তার সংক্রমনের শক্তি বেড়েছে। তবে মনে হয় তার ভাইরুলেন্স বেশ কমে গেছে। এখন করোনা চলচ্চিত্রের মধ্যাহ্ন বিরতি চলছে। সামনে করোনার দ্বিতীয় পর্ব আসছে।
জার্মানিতে রাতে কারফিউ জারি করতে যাচ্ছে।
ইউরোপের অন্যান্য দেশেও লকডাউন করতে যাচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে করোনা আক্রান্তের হার এবং মৃত্যুর হার বাড়ছে।
আমাদের আরও সাবধান হতে হবে। সামাজিক দুরত্ব মেনে চলতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।