প্ল্যাটফর্ম নিউজ
শনিবার, ২ মে, ২০২০ খ্রিস্টাব্দ
করোনার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী চলা সাধারণ ছুটি আরো বাড়ছে। আগামীকাল রবিবারের মধ্যে নতুন ছুটির সিদ্ধান্ত জানানোর চিন্তা করছে সরকার।এ নিয়ে ষষ্ঠ দফায় ছুটি বাড়ানো হচ্ছে। তবে ঠিক কতদিন ছুটি বাড়ানো হবে তা এখনো চুড়ান্ত হয়নি।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্রের বরাতে এসব তথ্য জানা গেছে। তারা বলছেন, পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। অন্তত ৭ দিনের ছুটি বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনায় রাখছে সরকার। এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামীকাল রবিবার করোনা পরিস্থিতির কারণে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠকের সুপারিশের উপর নির্ভর করবে। কিন্তু টানা ঈদ পর্যন্ত ছুটির কথা আপাতত সরকারের চিন্তায় নেই বলে জানা গেছে।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্রে জানা গেছে, ৭ দিন ছুটি বাড়ালে ছুটি গড়াবে ১২ মে পর্যন্ত, সেদিন হয় মঙ্গলবার। এর দুইদিন পরই আবার সাপ্তাহিক শুক্র-শনিবারের ছুটি এসে যায়।এ কারণে ছুটি বাড়িয়ে সাত দিনের জায়গায় ৯ দিনও হতে পারে। এতে পরের সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ১৬ মে পর্যন্ত হয়তো ছুটি মিলবে।
অপর একটি সূত্র থেকে জানা যায়, ছুটি বাড়ানো এবং স্থগিত করার দুই ধরনের একাধিক রোডম্যাপ সরকারের আগে থেকেই করা আছে। এখন সরকার কোন পথে যাবে তা নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।
জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন করোনাকালীন দায়িত্ব পালনে সাতক্ষীরা জেলা সফরে রয়েছেন। সেখানে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্থ থাকায় তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাতে পারেননি।
এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ছুটি নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও বিষয়টিতে তাদের কাছে শনিবার দুপুর পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা আসেনি বলে জানিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে দুই তিন দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
উল্লেখ্য, বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যেন ছড়িয়ে না পড়ে- সেটি প্রতিরোধে সরকারের নির্বাহী আদেশে পাঁচ দফায় আগামী ৫ মে পর্যন্ত দেশে সাধারণ ছুটি চলছে।
গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম দফায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে পরে এই ছুটি বাড়িয়ে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। এরপর ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়।
চতুর্থ দফায় ২৫ এপ্রিল এবং সর্বশেষ পঞ্চম দফায় ৫ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। এবার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এবার ষষ্ঠ দফায় ছুটি বাড়ানোর কথা চিন্তা করছে সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদক / আশরাফ মাহাদী