প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ৭ মে ২০২০, বৃহস্পতিবার
দেশের বিভিন্ন ল্যাবে থেকে টেস্ট রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে। কখনও কখনও ২৪ ঘন্টার রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে ৪-৫ দিনেরও বেশি সময়। এতে করে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে সাধারণ জনগণ করোনা পজিটিভ হলেও টেস্ট রিপোর্ট দেরিতে হাতে পাওয়ার কারনে যথাসময়ে চিকিৎসা শুরু হচ্ছে না আক্রান্ত রোগীর। এই সমস্যা সমাধানে দ্রুতমত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাশে কাজ করছে প্ল্যাটফর্ম।
কোভিড-১৯ এর টেস্ট রেজাল্ট রোগীরা যেন দ্রুততম সময়ে পান সেটি নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস ( ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) শাখা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্তা(এসএমএস) পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। বার্তা পাঠানোর কাজে সাহায্যের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়নে প্ল্যাটফর্মের মেডিকেল স্টুডেন্ট ও চিকিৎসক ভলান্টিয়ার বিভিন্ন ল্যাবে কাজ করছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. মারুফুর রহমান অপু জানান, বার্তাগুলো (এসএমএস) জেলা স্বাস্থ্য তথ্য সফ্টওয়্যার (ডিএইচআইএস২) এর কোভিড-১৯ এর লিপিভুক্ত ডাটা থেকে পাঠানো হয়। তাই ল্যাবরেটরি গুলো থেকে এই ডাটা আবশ্যিকভাবে প্রতিদিন আপডেট করতে হয় নাহলে রোগীরা সঠিক সময়ে এসএমএস পাবেন না। প্ল্যাটফর্মের স্বেচ্ছাসেবকরা ডিএইচআইএস২ তে ডাটা আপডেট, ডাটা প্রবেশ করানো সহ সার্বিক সহযোগিতামূলক কাজ গুলো করছেন।
স্বেচ্ছাসেবকরা জানান কাজের ক্ষেত্রে তাদের কিছু সমস্যা হচ্ছে। কিছু কিছু ল্যাবে স্বেচ্ছাসেবকরা সঠিকভাবে সহায়তা পাচ্ছেন না, এর মধ্যে তাদের বসার জায়গা, নেট কানেকশন, এন্ট্রির জন্য সঠিক ডাটা (রোগীর সঠিক ফোন নাম্বার ও অন্যান্য তথ্য)। দেখা যাচ্ছে অনেক যায়গাতেই স্যাম্পল কালেকশন ফর্মে এই তথ্য থাকেনা বা ভুল তথ্য থাকে, তখন এই ডাটা ডিএইচআইএস২ তে ঢোকানো বা মেসেজ দেয়া দুটোই অসম্ভব হয়ে ওঠে। কেননা সার্ভিলেন্স সিস্টেমে তথ্য না থাকলে ডাটা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা কঠিন, তবে এরচেয়েও বড় কথা হলো রোগীকে দ্রুততম সময়ে রিপোর্ট পৌছানো। এ ব্যাপার গুলোতে ল্যাবের দ্বায়ত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ ও সংশ্লিষ্টরা নজর দিলে কাজের গতি বাড়ানো সম্ভব হবে।
ল্যাবগুলোকে নিজস্ব জনবল প্রয়োগ আরও বাড়াতে হবে (প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে কথা বলে জনবল বাড়িয়ে) গুরুত্ব সহকারে কাজটি করতে হবে। ছোট ছোট সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারলে আরো দ্রুত সময়ে রিপোর্ট পৌঁছানো সম্ভব হবে এবং রিপোর্ট পাওয়া সংক্রান্ত জটিলতা দূর হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ বার্তাটি গ্রামিনফোন(জিপি) গ্রাহকদের কাছে এমআইএস ডিজিএইচএস (MIS DGHS) নামে আসবে এবং অন্য অপারেটর ব্যবহারকারীরা ০১৭২৯০২৪৬১২ নাম্বারটি থেকে এসএমএস পাবেন। বার্তা (এসএমএস) এর পদ্ধতিটি হলোঃ
“Mr. ABC, 30yrs, Male, from Dhaka, is tested Positive/Negative for COVID-19, on 03-05-2020, sample received on 01-05-2020
Please contact 16263 for further advice if needed”
এই বার্তাটি বিশ্বাসযোগ্য কোন রোগী এই বার্তা (এসএমএস) দেখালে তাকে প্রিন্টেড রিপোর্টের এর অপেক্ষায় না রেখে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলভিয়া মীম