প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১৩ই মে ২০২০, বুধবার
প্রেক্ষাপট ১: বিএসএমএমইউ ফ্লু কর্ণার
ডা. শাওন দেব কর্মরত আছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজের ফ্লু কর্ণারে। দীর্ঘক্ষণ মাস্ক, গগলস পরে থাকাতে সারা মুখমণ্ডলে দাগ বসে পড়ছে। তিনি বলেন, ‘দাগ ভাল কারণ এর মানে গগলস ঠিকমত আটকেছে, লিক হয় নি একটুও। ভাইরাস ঢোকার সম্ভাবনা কম।’ তবে তার মতে এর খারাপ দিক হলো ফুসফুসের ক্ষতি হচ্ছে, কার্বন ডাই অক্সাইড ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। পানিশূন্যতার কারণে মাথা ব্যথা হচ্ছে। এতকিছু সহ্য করেও ফ্লু ক্লিনিকের মত সম্ভাব্য সংক্রমণের স্থানেও দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসা সেবা।
প্রেক্ষাপট ২: নিরবচ্ছিন্ন অস্ত্রোপচার
ডা. মোহাম্মদ আতাউল ইসলাম
সহকারি অধ্যাপক (সার্জারি)
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, কিশোরগঞ্জ।
ডা. আতাউলের করোনার চিকিৎসা দেবার কথা না, তবুও তিনি করোনার সন্মুখ সমরে অংশ নেয়া সার্জারি বিশেষজ্ঞ। তিনি করোনা প্যান্ডেমিকের মধ্যে নির্লিপ্তভাবে সর্বাধিক ঝুঁকি নিয়ে প্রত্যক্ষভাবে করোনা রোগীদের নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
প্রেক্ষাপট ৩: পিছিয়ে নেই নবীন চিকিৎসকেরাও
ডা. মাসুমা আলী শেরে বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের একজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসক। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সেবা দেয়ার প্রসঙ্গে বলেন, ‘পিপিই পরে একটানা ডিউটিতে হাঁপিয়ে উঠি তবুও কন্টামিনেশনের ভয়ে কিছু খেতে পারি না। কিন্ত কি করবো, দায়িত্ব তো এড়িয়ে যেতে পারি না।’
এরকম হাজারো সম্মুখ সমরের যোদ্ধারা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, যুদ্ধ করছেন অদৃশ্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, দেশে এ পর্যন্ত ৩ জন ডাক্তার ও ১ জন স্বাস্থ্য কর্মী কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন এবং আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১২০০ জন।