প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২৩ নভেম্বর, ২০২০, সোমবার
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ও দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় মানুষকে মাস্ক পরার জন্য বাধ্য করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা বাড়ানোসহ আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার।
গত বছর নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখ চীন দেশে সর্বপ্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ,২০২০ তারিখে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত ব্যক্তির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছেই এবং ২৩ নভেম্বর, ২০২০ তারিখ পর্যন্ত মোট শনাক্ত সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৪৯ হাজার ৭৬০ জন এবং মৃত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪১৬ জন।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় মানুষকে মাস্ক পরতে বাধ্য করতে নির্দেশ দিয়েছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন যে, বিষয়টি বেশি বেশি প্রচার করতে হবে। কারণ মাস্ক না পরলে যত কিছুই করা হোক কাজে আসবে না।
আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও সরকারের অবস্থান জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন যে, বিভাগীয় কমিশনাররা জানিয়েছেন, মাস্ক না পরায় গতকাল কয়েক হাজার মানুষকে জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় গতকাল ৩৭টি জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি আরও এক সপ্তাহ দেখা হবে এবং প্রয়োজনে আরও শক্ত অবস্থান নেওয়া হবে জানিয়েছেন তিনি।
শক্ত অবস্থান এর ব্যাপারে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন যে, জরিমানা ৫০০ বা ১ হাজারের জায়গায় ৫ হাজার টাকা হতে পারে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার সময় বেশি করে মাস্ক সঙ্গে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া বৈঠকে কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাত মোকাবিলায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে জানানো হয়। এ ছাড়া বৈদেশিক সহায়তা পরিস্থিতি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কেও মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।