প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ৮ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার, ২০২০
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার প্রভাব পড়েছে পদ্মা সেতুর প্রকল্পে। গড়ে প্রতি ১০০ জনের পরীক্ষায় ৫০ জনেরই করোনা শনাক্ত হচ্ছে বলে তথ্য দিয়েছে সেতু বিভাগ। আক্রান্ত দেশী-বিদেশী প্রকৌশলী ও শ্রমিকদের আইসোলেশনে রাখায় দেখা দিয়েছে কর্মীসংকট। করোনার কারণে এই পর্যন্ত সেতুর কাজ ৩০-৩৫ ভাগ কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
জাজিরা থেকে মাওয়া, পদ্মার দুই প্রান্তের সংযোগ এখন সময়ের ব্যাপার। দুরন্ত নদীর বুকে শোভা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কোটি বাঙালির গর্বের প্রতীক পদ্মা সেতু। ২০১৪ সালে কাজ শুরুর পর নানা প্রতিবন্ধকতায় পড়েছে এই প্রকল্প। অর্থায়ন থেকে বিশ্বব্যাংককে সরে যাওয়া থেকে শুরু করে পাইলিং জটিলতা, তীব্র স্রোত, বিপুল পলি। সব জটিলতা মোকাবিলা করা গেলেও মার্চ মাসে বাধা হয়ে দাঁড়ায় করোনা।
প্রকল্পের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর প্রেস কোম্পানির ৩৩২ প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান ফেব্রুয়ারিতে ছুটি কাটাতে যেয়ে আটকা পড়েন চীনে। এতে কাজের গতি কমলেও সেপ্টেম্বর থেকে আবার বাড়ছিল। তবে এবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা।
প্রকল্প এলাকার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশী-বিদেশী প্রকৌশলী ও শ্রমিকদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে প্রকল্প পরিচালক বলছেন, দ্বিতীয় ধাক্কার চেয়ে প্রথমবার প্রকল্পের কাজে বেশী ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার ৪০ নম্বর স্প্যান বসানো সেতুর ৬ কি.মি. এখন দৃশ্যমান। আর মাত্র একটি স্প্যান বসানো বাকি। নভেম্বর পর্যন্ত মূল সেতুর অগ্রগতি ৯১ ভাগ, নদীশাসন ৭৬ ভাগ এবং সার্বিক অগ্রগতি ৮২.৫ শতাংশ।