২৪ মার্চ ২০২০: বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করলে করোনা ভাইরাস এক আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলোর মত বাংলাদেশও এর ভুক্তভোগী।
করোনা ভাইরাসের ব্যাপ্তির কারণে একে একে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত, দোকানপাট, রেস্টুরেন্ট সহ যাবতীয় জনসমাগমের জায়গা বন্ধ হতে শুরু করেছে। এর ফলে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে সমাজের খেটেখাওয়া শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ। যাদের দৈনিক আয়ে তাদের পরিবার চলে, এই মানুষগুলোর আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের পরিবারের অবস্থাও শোচনীয়।
এমতাবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের একদল শিক্ষার্থী এদের পাশে দাঁড়নোর জন্য মনস্থ করেছেন। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী শুরু করেন “পাশে আছি” এবং চেষ্টা করছেন অসহায় মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটানোর।
বলছি তাহমিদ হাসান, রিশতা আশরাফি, আনিকা আহসান, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, অভিক রেহমান এবং তাদের সহপাঠীদের কথা। প্রথম দিন ২২ মার্চ রবিবার সরেজমিনে বের হয়ে তারা ধানমন্ডি এলাকায় মোট ৫০ জন সিএনজিচালক এবং রিকশাওয়ালাকে একটি করে খাবার প্যাকেট দিয়েছেন। ১০০-১১০ টাকা সমমূল্যের প্রতি প্যাকেটে ছিলো ২৫০ গ্রাম ডাল, দেড় কেজি চাল, আধা কেজি আলু, কিছু পেঁয়াজ এবং একটি সাবান। পরদিন সোমবার মোহাম্মদপুর ও লালমাটিয়ায় ১৫০ জন রিকশাচালক, সিএনজিচালক ও শ্রমজীবীদের মাঝে খাবার প্যাকেট দান করে “পাশে আছি”।
পাশাপাশি শুনেছেন তাদের হতাশার গল্প। প্রান্তিক এই মানুষগুলোকে জানিয়েছেন করোনা থেকে সতর্ক হতে কী করতে হয়। কিন্তু শ্রমজীবী এই মানুষদের একটাই উত্তর, “সংসার চালাতে গেলে তো বাইরে বের হতেই হয়, আমরা বের না হলে সংসার চলবে কী করে?”
“পাশে আছি” এর একজন উদ্যোক্তা তাহমিদ হাসান বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই কাজটি আরো নিয়মিত করবো। আপনারাও চাইলে নিজের এলাকায় এমনটা করে দেখতে পারেন। দরকার হলে একজনকেই সহায়তা করলেন, ১০০ টাকা কিন্তু খুব বেশি টাকা নয়!”
“পাশে আছি” এর ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করে তাদের সহায়তা করা যাবে, প্যাকেজিং-বিতরণ কিংবা অর্থ দিয়ে।
বিকাশ নম্বরসমূহঃ
+8801515203207
+8801707117066
+8801812821421
+8801772032528
Bank account-
Account no: 1061440479332
Account Name: Tahmid Hasan
Bank: Eastern Bank Limited, Dhanmondi
নিজস্ব প্রতিবেদক/ আব্দুল্লাহ আল মারুফ