প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১২ জুলাই, ২০২১
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সাথে তাল মিলিয়ে বেড়ে চলছে ডেঙ্গু। মূলত দেশে এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাসেই ডেঙ্গু সংক্রমণ হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জুন থেকে সেপ্টেম্বর – এ চার মাসে সংক্রমণের হার বেশি থাকে তাই সতর্ক থাকাও জরুরি।
তবে ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতির কারণে ডেঙ্গুকে তেমন গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না, সেই সাথে অতিমাত্রায় না ছড়ালে লক্ষণ দেখে রোগ নির্ণয় করাও মুশকিল হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষদের জন্য। আর তাই করোনা আর ডেঙ্গুর উপসর্গ কাছাকাছি হওয়ায় জ্বর হলে বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
কিন্তু সকল পরামর্শ এবং প্রচেষ্টার পরেও গত এক মাসে সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩৬ জন। সেইসাথে, গত ১১ জুলাই পর্যন্ত শুধুমাত্র ঢাকাতেই আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫৫ জন।
সারা দেশে আক্রান্ত রোগীদের মধ্য থেকে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪১২ জন এবং হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে ১৪১ জনকে।
ডেঙ্গু সংক্রমণের এই ক্রমবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলা যায় যে, অনেকেই মনে করেন ডেঙ্গু এবং করোনা একত্রে হয়না। তবে এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এরা শুধু এক সাথে হতে পারে তাই নয়, ফলশ্রুতিতে প্রাণঘাতী ও হতে পারে।
বিভিন্ন হাসপাতাল হতে সংগৃহীত তথ্য থেকে জানা যায় আরামবাগ, খিলগাঁও, বাসাবো এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি এবং এসব এলাকায় নিয়মিত সঠিকভাবে মশক নিধন হয়না বলে গণমাধ্যমকে অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
কিছু কিছু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ক্রমবর্ধমান রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় এনে ডেঙ্গু ইউনিট চালু করার কথাও ভাবছেন তারা।
এদিকে, ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। ঢাকা উত্তরের তুলনায় ঢাকা দক্ষিণে এডিস মশার প্রকোপ বেশি বলে জানা গেছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে দেয়া বিবৃতিতে বলেন, “দায়িত্বটা কিন্তু যার বাড়ি তাঁকে নিতে হবে, তাহলে ৬৫% সংক্রমণ কমে আসবে”। সেই সাথে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি অঞ্চলে চিরুনী অভিযান চলবে বলেও জানান তিনি।