১১ এপ্রিল, ২০২০: কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার এক উপপরিদর্শক (সাব ইন্সপেক্টর) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ফলে তার ৬৪ সহকর্মী ও পাঁচ চিকিৎসকসহ মোট ৬৯ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এ সংকট মোকাবেলার জন্য জেলা পুলিশ লাইন থেকে ভৈরব থানায় যোগ দিয়েছেন ৩৫ জন নতুন পুলিশ সদস্য। তারমধ্যে ৪ জন উপপরিদর্শক এবং ৩১ জন কনস্টেবল আছেন। সাথে পুরো ভৈরব উপজেলাকে লকডাউন ঘোষনা করেন স্থানীয় প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
১০ এপ্রিল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রথমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি লুবনা ফারজানা ১৫ জন পুলিশ সদস্যকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ সুপার ভৈরব থানার সব পুলিশ সদস্যকে (৬৪ জন) কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেন।
এর আগে করোনার উপসর্গের কারণে ভৈরব থানার ওই পুলিশ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হলে শুক্রবার দুপুরে আসা রিপোর্টে আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে বিকেলে তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। এরপর উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও চিকিৎসা বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি দীর্ঘ সভা শেষে পুলিশ এবং চিকিৎসকদের কোয়ারান্টাইনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়৷
৬৪ জনের মধ্যে ৩৩ জনকে স্থানীয় শহীদ আইভি রহমান পৌর স্টেডিয়ামে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আর দুই পরিদর্শকসহ (ওসি) বাকী ৩১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়৷
এদিকে করোনায় আক্রান্ত ওই পুলিশ সদস্যের সংস্পর্শে আসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ আরো চার চিকিৎসককেও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও ডা. বুলবুল আহমেদ।
নিজস্ব প্রতিবেদক/শেখ লুৎফুর রহমান তুষার