প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ৩০ অক্টোবর, ২০২০, শুক্রবার
মহামারী করোনা যুদ্ধে হেরে সবাইকে কাঁদিয়ে শহীদদের মিছিলে এবার যুক্ত হলেন দেশবরেণ্য কিংবদন্তি চিকিৎসক বাংলাদেশের প্রখ্যাত বায়োকেমিস্ট্রির অধ্যাপক ডা. এম.এ. জলিল (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি র’জিউন)। আজ ৩০ অক্টোবর, শুক্রবার রাত ১২.২০ ঘটিকায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে কমবাইন্ড মিলিটারি হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে আজ শুক্রবার রাত ১২.২০ ঘটিকায় কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সকলের অত্যন্ত প্রিয় অধ্যাপক ডা. এম.এ. জলিল ১৯৫৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক-১২) ভর্তির মাধ্যমে তাঁর মেডিকেল জীবনের যাত্রা শুরু করেন। এমবিবিএস পাশ করার পর তিনি গোপালপুর এবং টাঙ্গাইলে দুই বছর মেডিসিন প্র্যাকটিস করেন। তিনি বৃহত্তর টাঙ্গাইল এলাকার তৃতীয় চিকিৎসক ছিলেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি একজন ভাল চিকিৎসকের পাশাপাশি একজন ভাল মানুষ ছিলেন। তিনি গোপালপুরে নিজস্ব চেম্বার থাকা সত্ত্বেও সাইকেলে চড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগী দেখতেন।
পরবর্তীতে প্রাইভেট প্র্যাকটিস ছেড়ে ১৯৬২ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ফিজিওলজির লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৬ সালে বিএসএমএমইউ প্রতিষ্ঠার পর প্রথম ব্যাচ এমফিল কোর্সে ভর্তি হন। পরে ১৯৭৯ সালে প্রফেসর পদে এবং ১৯৯২ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হন এবং পরবর্তী জীবনের টানা ৩০ বছর তিনি মমকের অধ্যক্ষ পদেই বহাল ছিলেন। পরবর্তীতে অবসর গ্রহণের পর টাঙ্গাইলের কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং একাডেমিক উপদেষ্টা এই মহান অধ্যাপক। এছাড়াও তিনি কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজের বায়োকেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের প্রধান হিসেবেও নিযুক্ত ছিলেন।
তাঁর মতো একজন প্রতিভাবান কিংবদন্তি চিকিৎসকের মৃত্যুতে প্ল্যাটফর্ম পরিবার গভীরভাবে শোকাহত এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।