প্ল্যাটফর্ম নিউজ, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০২০
দেবব্রত মুখোপাধ্যায়
সিনিয়র রিপোর্টার, দৈনিক ইত্তেফাক
আমার ধারণা ছিলো, সরকারী চাকরি মানেই বেতনটা অন্তত ১ তারিখে নিশ্চিত। গত পরশু এক তরুন ডাক্তার বললেন, দুই মাস ধরে বেতন পান না। একেবারে লাজুক কণ্ঠে বললেন, সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে।
আমাদের বেশীরভাগ ডাক্তারের মাসিক আয় কতো জানেন? আপনারা শিখেছেন এক প্রফেসর, তারকা ডাক্তারদের লাখ লাখ টাকা আয়ের গল্প। বেশীরভাগ ডাক্তারের জীবনের ৩৬ বছর কেটে যায় পড়াশোনা করতে করতে। এরপর মাসে ১২-১৫ হাজার টাকার চাকরি ক্লিনিকে। এই বেতনেই এরা এই করোনার ঝুঁকি নিয়ে, জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছিলো। এদের চেম্বারেই রোগী নেই। রোগী আসবে কোত্থেকে? সবাই তো ‘বড়’ ডাক্তার খোঁজে।
যাক, ডাক্তারদের অভাবের কথা বলে লাভ নেই। আমরা ধরেই নিয়েছি, ডাক্তারদের খাওয়ার দরকার নেই। তারা ফোনে ফ্রি চিকিৎসা দেবে, চেম্বারে গেলে বন্ধু বলে টাকা না নিয়ে উল্টো কিছু ফ্রি ওষুধ দিয়ে দেবে। এ পর্যন্তও মেনে নেওয়া গিয়েছিলো।
এবার আমরা তাদের পিটিয়ে মারা শুরু করলাম। হ্যা, পিটিয়ে মারা হয়েছে খুলনায় এক ডাক্তারকে। করোনা দিনে ৩-৪ জন করে মারছে; এটা যথেষ্ঠ মনে হচ্ছে না। জনা চল্লিশেক ডাক্তারের এভাবে মরে যাওয়াটা ঠিক যথেষ্ট মনে হচ্ছে না। তাই আমরা ডাক্তারদের পিটিয়েও মারছি।