৩ এপ্রিল, ২০২০ :
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতন বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী করোনার বিস্তার প্রতিরোধ এবং এর ভয়াবহতা থেকে দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে গত ২৬ মার্চ, ২০২০ ইং তারিখ হতে সারাদেশে চলছে সাধারণ ছুটি।
এতে বিপাকে পড়েছে সমাজের নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষজন। করোনা সংক্রমণের চেয়ে বড় দুশ্চিন্তা তাদের এখন নিজের ও নিজের পরিবারের দুবেলার আহার জোগাড় করা।
স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত ইতিমধ্যে বন্ধ ঘোষণা করায় ঢাকার মতন ব্যস্ততম নগরী আজ প্রায় জনমানবহীন থাকার কথা হলেও দেখা মিলছে এর ব্যতিক্রম। শহরের দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষ, বস্তিবাসী, ভিক্ষুকরা দলবেঁধে ঘুরছেন রাস্তায়। রাস্তায় কর্তব্যরত সেনাবাহিনীর পরোয়া না করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে সহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় দলবদ্ধভাবে গাড়ির পেছনে সাহায্যের জন্য দৌড়াতে দেখা যাচ্ছে তাদের৷ এতে যেমন তারা নিজেরা সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন তেমনি দেশের জন্যও পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। এরূপ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনা হলে করোনা রোগ আরো ব্যাপক হারে বিস্তার লাভ করতে পারে বাংলাদেশে।
ইতিমধ্যে বেশ কিছু সাহায্য সংগঠন এগিয়ে আসলেও সমাজের এই বিশাল দরিদ্র শ্রেণীর জনগণের ভরণপোষণের জন্য তা পর্যাপ্ত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী করোনা সংকট ও দেশের এমন অস্থিতিশীল অবস্থা যদি আগামী আরও কয়েকমাস বিরাজমান থাকে তবে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষের দেখা দিতে পারে।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী সরকারী ছুটি চলবে আগামী ১১ ই এপ্রিল পর্যন্ত। তবে পরিস্থিতি আরো খারাপ হলে বাড়তে পারে সাধারণ ছুটির সময়সীমা। তাই বাংলাদেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জনগণের জন্যে সামনের দিনগুলো মোকাবিলা করা হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক / নাজমুন নাহার মীম