প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২৫ এপ্রিল ২০২১, রবিবার
আজ ২৫ এপ্রিল (রবিবার) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানান, করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকাদান কর্মসূচি ২৬ এপ্রিল (সোমবার) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ রাখায় বাংলাদেশে টিকার মজুদ কমে আসছে। ভ্যাকসিন স্বল্পতার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ভাবে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। বেসরকারি কোম্পানি বেক্সিমকোর মাধ্যমে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি টিকা কেনার চুক্তি করেছিল সরকার। গত নভেম্বরে সম্পাদিত ওই চুক্তি অনুযায়ী সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে বাংলাদেশে প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা আসার কথা ছিল। এরপর জানুয়ারি মাসেই রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে প্রায় এক হাজার তিনশ’ কোটি টাকায় অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রাজেনেকার উৎপাদিত তিন কোটি ডোজ টিকা সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনার অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। চুক্তির পর সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে দু’টি চালানে এ পর্যন্ত মাত্র ৭০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশ পেয়েছে গত জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে। এরপর থেকে ৩২ লাখ ডোজ উপহার হিসেবে এলেও চুক্তি অনুযায়ী আর কোনও টিকা পায়নি বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, শনিবার (২৪ এপ্রিল) পর্যন্ত ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৭ লাখ ৯৮ হাজার ৮৮০ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ লাখ ৫৫ হাজার ২৯৬ জন। অর্থাৎ দুই ডোজ মিলিয়ে ৭৯ লাখ ৫৪ হাজার ১৭৬ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে টিকা রফতানি বন্ধ করে রেখেছে ভারত।