চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া নতুন (2019-nCoV) করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর অংশ হিসেবে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে, বিশেষ করে আটটি বিভাগের জেলা সদর ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে কমপক্ষে ৫ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট চালু করা হচ্ছে।
তিনটি বিমানবন্দর, দুটি সমুদ্রবন্দরসহ দেশের ২৪টি প্রবেশপথে নেয়া হয়েছে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। খোলা হয়েছে হেলথ ডেস্ক। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইতিমধ্যে চীন ফেরত ২৪৭০ জন যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
এই ভাইরাস কোনোভাবেই যেন দেশে আসতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এই নির্দেশ দেন।
২৬ জানুয়ারি রবিবার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত এক পত্রে দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট স্থাপনের নির্দেশনা দেয়া হয়। সেখানে বলা হয়েছে, চীনের সংক্রমিত নতুন (2019-nCoV) করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে।
এই ভাইরাস প্রতিরোধে এবং নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ হিসেবে প্রতিটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত আবশ্যক। এরই অংশ হিসেবে সংক্রমিত রোগীদের সেবায় সব হাসপাতালে অক্সিজেন এবং অন্যান্য সুবিধাসহ ৫টি বিছানা সংবলিত আইসোলেন ইউনিট নির্দিষ্টকরণের জন্য অনুরোধ করা হল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশের সব হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট চালু করতে রবিবার রাতেই নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সোমবার অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষ থেকে বিভাগীয় পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে সব ধরনের নির্দেশনা দিয়েছি।
স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় উপকরণ বিশেষ করে মাস্ক, টুপি, হ্যান্ড গ্লোবস, চশমা, অ্যাপ্রোন, রেইনকোর্ট ইত্যাদি প্রয়োজনমতো সংগ্রহে রাখতে বলেছি। দেশে নতুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া না গেলেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সম্ভাব্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
তথ্য সূত্র: যুগান্তর
নিজস্ব প্রতিবেদক/ হৃদিতা রোশনী