১৯ মার্চ ২০২০: জানুয়ারিতে যখন বিয়ের সবকিছু ঠিকঠাক হচ্ছিলো, তখন থেকেই বাসায় ঘোষণা দিয়েছিলেন যে স্কুল কলেজ মেডিকেলের বন্ধু বান্ধব কলিগ, ছোট বড় ভাই-বোন, শিক্ষক-শিক্ষিকা মিলিয়ে তার অতিথিই হবেন ২০০ জন। মোট অতিথি হবেন হয়তো ৮০০-৯০০ জন।
বলছি ডা. সাকিব হাসান ধ্রুব এর কথা। বাড়ির ছোট ছেলে হিসাবে সব কিছুতেই বাবা মায়ের হ্যা ছিলো। কমতি ছিল না বোনের উৎসাহের। সেই জানুয়ারি মাস থেকেই শাড়ি কিনছিলেন ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে।
কনে ডা. মৌসুমীর দিক থেকেও ছিল কত শত পরিকল্পনা। প্রায় দেড় বছর ধরে চলছিল জল্পনা-কল্পনা। কমিউনিটি সেন্টার, রেস্টুরেন্ট, ফটোগ্রাফার, পার্লার সবকিছুর জন্য বেশ ভালো অ্যামাউন্টের টাকা অ্যাডভান্সও দেওয়া শেষ।
কিন্তু কোভিড-১৯ এর এই বিশ্ব মহামারিতে দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত সবই বাদ দিয়ে দিলেন এই যুগল। ছোট আকারে কয়েকজন কনের বাসায় গিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
ডা. সাকিব হাসান ধ্রুব এর ভাষায়, “বৈশ্বিক স্কেলে খুবই ছোট একটা স্যাক্রিফাইস মনে হবে কিন্তু ব্যক্তিগত পর্যায়ে এইটা যে কত বড় স্যাক্রিফাইস সেইটা আজকে মৌসুমির চেহারা দেখে বুঝতেছিলাম। এইরকম ছোট ছোট কমন সেন্সের ইস্যুগুলা বোঝাই এখন বেশি দরকার।
আমি অনেক ভাগ্যবান এইরকম বড় মনের একটা মানুষকে ভবিষ্যতের জীবনসঙ্গী হিসাবে পেয়ে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।”