প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ৩০ এপ্রিল ২০২০, বৃহস্পতিবার:
করোনা বর্তমানে এক বৈশ্বিক সংকটের নাম। এই সংকটের মুহূর্তে সামনের সারি থেকে জনমানুষের জীবনের জন্য লড়ে যাচ্ছেন আমাদের মহান চিকিৎসকরা, স্বাস্থ্যকর্মীরা। যারা নিজেদের জীবনকে তুচ্ছ করে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। মধ্যম আয়ের দেশ হয়েও বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলো অনিয়মে ভরা। সেখানে পর্যাপ্ত অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস না থাকা সত্ত্বেও এই প্রতিকূলতায় লড়ে যাচ্ছেন আমাদের চিকিৎসকরা। এই বিপর্যয়ের মুহূর্তেও রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজের সাহসী চিকিৎসকগণ সব নেগেটিভিটির বিরুদ্ধে গিয়ে তাদের চিকিৎসক হিসেবে নেয়া সেই শপথের জায়গায় রয়েছেন অবিচল। ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে করোনা সংকটের এই লড়াইয়ের কথা জানিয়েছেন মুগদা মেডিকেলের সার্জারী বিভাগের চিকিৎসক ডা. অরিন্দম দাশ। তিনি লিখেন-
কোভিড-১৯: মুগদা পর্ব (বিশেষ অধ্যায়- তবুও আমরা)
অভিযোগের কমতি নেই, দোষারোপের শেষ নেই। ঢাল নেই, তলোয়ার নেই। শুধু নেই বলে একটা শব্দ আছে। কোভিড মহামারীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের বিরুদ্ধেও খিস্তির কোনো সীমা নেই। হাসপাতাল আছে ডাক্তার নেই, ডাক্তার আছে রোগী নেই, রোগী আছে সেবা নেই, রাউন্ড আছে ওষুধ নেই, এভাবেই চলছে।
আমি আগের পোস্টে লিখেছিলাম আমি কোন সমালোচনা, কোন হতাশার গল্প শোনাতে আসিনি। আবারও বলছি আমরা সাহস চাই, অনুপ্রেরণা চাই, সামনে এগোনোর শক্তি চাই। যারা আমার পোষ্ট দেখে হতাশ হতে পারছেন না, হাল ছেড়ে দিন, ব্যক্তি বন্দনার সুর তুলে সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকুন।
গতকাল মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ইমার্জেন্সি সিজারিয়ান সেকশন টিমের দক্ষতায় অত্যন্ত সফলতার সাথে প্রথম কোনো কোভিড আক্রান্ত দুই জন গর্ভবতী মহিলার সিজার অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত টিমের সদস্য ছিলেন সহকারী অধ্যাপক ডা. খন্দকার রোকসানা মমতাজ (রামেক ৩১), আর এস ডা. আমিতুন নেসা শিখা (রামেক ৩৮) এবং এনেস্থিসিয়া দিয়েছেন ডা. মফিজুর রহমান সবুজ( রামেক ৩৮)। উল্লেখ্য, কোভিড আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলা বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে শেষ পর্যন্ত শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ ডা. শাহ গোলাম নবী তুহিন স্যারের মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মের সহায়তায় মুগদা হাসপাতালে ভর্তি হয়।
বর্তমানে মা এবং নবজাতকরা সুস্থ আছেন।
আমরা হাল ছাড়িনি, আমাদের নেগেটিভিটি অনেক বেশী। হোক না হাজারো সমালোচনা, থাক না হাজারো দোষ তবু্ও আমরা..
নিজস্ব প্রতিবেদক/জান্নাতুন নাসিরা জুঁই