প্ল্যাটফর্ম নিউজ: ১৫ এপ্রিল, ২০২০
বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চম্পকনগর সাব সেন্টারে কর্মরত একজন চিকিৎসক কোভিড ১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে কোভিড ১৯ আক্রান্ত রোগীর নমুনা সংগ্রহ করার সময় তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর নাম ডা.হামিদা মুস্তফা।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন আক্রান্ত চিকিৎসক। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর রোষানলে পড়েন তিনি এবং তার পরিবার। নমুনা সংগ্রহের জন্য পিপিই পরিহিত লোকজন বাসাটিতে আসা যাওয়া করায় এলাকাবাসী লাঠিসোটা নিয়ে এসে তাঁদের বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করে। ঘটনাটি ঘটে গত ১৪ ই এপ্রিল, বাংলা নববর্ষের প্রথমদিন!
এ ব্যাপারে কোন আফসোস নেই বলে জানান ডাক্তার হামিদা মুস্তফা সেঁওতি। তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কোভিড ১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য হাসপাতালে এবং মাঠ পর্যায়ে সেবাদান করেছেন। যখনই নিজে আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহ কাজ করছিল, নিজেই নমুনা নমুনা পরীক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছেন। কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন এতদিন। মানুষের সংস্পর্শ যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলেছেন। এমনকি পরিবারের কাছ থেকেও দূরে ছিলেন, তাঁদের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে।
এত সাবধানতা অবলম্বনের পরও এলাকাবাসীর আচরণ তাঁকে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, “নগর পুড়লে কি দেবালয় এড়ায়?” লোকজনের মাঝে করোনা নিয়ে আতঙ্ক ও কুসংস্কার কাজ করছে বলে তিনি মনে করেন। বৈশ্বিক মহামারি নিয়ে বিভিন্ন সময় নানারকম প্রচার বা বক্তব্য সমাজের বিভিন্ন পর্যায় থেকে এসেছে যা মানুষের মাঝে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বর্তমানে ডাক্তার সেঁওতি সরকার নির্ধারিত আইসোলেশন কেন্দ্রে আছেন। জানা যায়, স্থানীয় প্রশাসন ও সিভিল সার্জন তাঁকে সহায়তা করছে এবং নিরাপত্তার স্বার্থেই সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক/সুবহে জামিল সুবাহ