প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১৭ মে, ২০২০, রবিবার
কোভিড-১৯ চিকিৎসায় আশার আলোর সঞ্চার করেছে ‘প্লাজমা থেরাপি’। ‘প্লাজমা থেরাপি’ নিয়ে এবার কাজ করতে অগ্রসর হয়েছে “প্ল্যাটফর্ম প্লাজমা ডোনার পুল”।
প্লাজমা মূলত রক্তের একটি হলুদাভ তরল অংশ। মানুষের শরীরের রক্তের শতকরা ৫৫ ভাগ প্লাজমা/রক্তরস। কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের প্লাজমায় ৩-৭ দিনের মধ্যে কোভিড প্রতিরোধকারী এন্টিবডি (যা ইমিউনোগ্লোবিন নামে পরিচিত) তৈরী হয়। ‘প্লাজমা থেরাপি’ হল কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত কোন ব্যক্তি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলে তার শরীর থেকে প্লাজমা/রক্তরস অপর একজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করানো। ‘প্লাজমা থেরাপি’ মানুষের শরীরে হার্ড ইমিউনিটি তৈরী করে। করোনা ভাইরাসের এখন পর্যন্ত কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকলেও ‘প্লাজমা থেরাপি’ ই বর্তমানে বিশ্বব্যপী করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই থেরাপি প্রায় ৪০ হতে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর হয়েছে। একজন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠা করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর হতে প্রায় ১০ মি.লি./কে.জি. পরিমাণ প্লাজমা নেওয়া যায়। সাধারণত একজন ব্যক্তি করোনা উপসর্গ হতে মুক্তির ২৮ অথবা ১৪ দিন পর (এক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা ব্যবধানে পর পর দুইটি করোনা ভাইরাস টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে) প্লাজমা দান করতে পারবেন।
তাই জটিল কোভিড রোগীদের জন্যে অতিসত্তর দ্রুততর প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্লাজমা ডোনার খুঁজে আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্রবেশ করানোর ব্যবস্থা করে দেওয়াই “প্ল্যাটফর্ম প্লাজমা ডোনার পুল” এর একমাত্র কাম্য এবং প্রচেষ্টা। “প্ল্যাটফর্ম প্লাজমা ডোনার পুল” হতে ডোনার খুঁজে নেওয়ার জন্য যোগাযোগের নম্বরসমূহ:
01972808434
01790828088
01515667970
আপনি যদি হন একজন কোভিড-১৯ বিজয়ী যোদ্ধা তবে আপনার একটুখানি সহমর্মিতা আর মহানুভবতা বাঁচিয়ে তুলতে পারে মৃত্যু পথযাত্রী হাজারো করোনা আক্রান্ত মানুষকে। আসুন প্লাজমা দানে আগ্রহী হই, বাঁচিয়ে তুলি আমাদের দেশটিকে।
করোনা যুদ্ধের এই সময়ে ‘প্লাজমা থেরাপি’ হোক আমাদের আশার প্রদীপ, এই আমাদের কামনা।
নিজস্ব প্রতিবেদক
তাসনিম সানজানা কবির খান।