প্ল্যাটফর্ম নিউজ
মঙ্গলবার, ২৮ই এপ্রিল ২০২০:
গতকাল ২৭ এপ্রিল (সোমবার), প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে একটি লাইভ কনফারেন্সে ঘোষণা করেন, “পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না হয় তবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল, কলেজসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।”
জাতিকে করোনা মহামারীর প্রকোপ থেকে বাঁচানোর তাগিদে সরকার কর্তৃক গৃহীত এই পদক্ষেপ পরিস্থিতি বিবেচনা করে হয়তোবা কার্যকর করা হবে। কিন্তু এই অবস্থায় শিক্ষার্থীদের করণীয় কি? একের পর এক অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণায় ভেঙে পড়ছে শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা।
মেডিকেল এ এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে চারটা পেশাগত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে, মে মাসের দুই তারিখে প্রফেশনাল(পেশাগত) পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার দুর্যোগের কারণে এখন আর সেটা সম্ভব হচ্ছে না। এর কারণ করোনার দুর্যোগ পুরোপুরি না ঠিক হলে পরীক্ষা নেয়া কোনোভাবেই সম্ভব না।
এ নিয়ে অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ক্ষোভ প্রকাশ করে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। তারা জানায়, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে পেশাগত পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলাটা স্বার্থান্বেষী দেখালেও, এই অনিশ্চয়তায় থাকতে পারছি না। আমরা এই মুহূর্তে পেশাগত বা প্রফেশনাল পরীক্ষা নিতে বলছি না, তবে আমাদেরকে একটা সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা বা সম্ভাব্য সময় বলে দেয়া হোক।
তারা আরও জানায়, যারা চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষার সাপ্লিমেন্টারী(পুনরায় পরীক্ষা) দিবে, তারা তো এমনিতেই ছয় মাস পিছিয়ে গিয়েছে, তারপর যদি তারা আরও পিছিয়ে পরে তাহলে তাদের ভবিষ্যতে কি হবে, বিষয়টি নিয়ে তারা হতাশা আর অনিশ্চয়তার মধ্যে ডুবে আছে। আর অন্যদিকে সেশনজট জনিত সমস্যা তো আছেই।
তারা চুড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষা সহ অন্যান্য পরীক্ষার ব্যাপারে সম্মানিত শিক্ষকদের এবং কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ জানায় যাতে, এ ব্যাপারে তাদেরকে যথাযথ পরামর্শ এবং দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক / সিলভিয়া মীম