২৩ মার্চ, ২০২০
সম্প্রতি বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। বাংলাদেশেও ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়েছে। প্রথমদিকে গুরত্ব সহকারে না দেখেলেও এখন বাংলাদেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে, ঘরে থাকাই করোনা থেকে বাঁচার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ও এদেশের সাধারণ জনগণকে সাময়িক সময়ের জন্য ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। করোনা আতঙ্কে ইতিমধ্যেই শহরের রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে। কিন্তু এতে বিপদে পড়ে গেছেন সমাজের রিক্সাচালক, দিনমজুর, শ্রমিক শ্রেনীর লোকজন। রাস্তায় মানুষ না থাকায় রিক্সাচালকেরা যাত্রী পাচ্ছেন না। আয় না হলে তাদের সংসার চালানো অনেকটাই অসম্ভব।
আজ ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এতে সবেতনে চাকুরিজীবীরা হয়তো ছুটি পাবে। কিন্তু দিনমজুররা কী করবে? তাদের খাবার দেবে কে? তাদের সন্তানরা কী খাবে? করোনার ঝুঁকির পাশাপাশি সমাজের এই শ্রেনীর লোকের পার করতে হবে অনাহারে টিকে থাকার আরেক লড়াই। গোটা দেশ যখন দিনমজুরদের নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়, তখন সেই দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন একজন ডাক্তার। নিজের সাধ্যমতো তিনি রিক্সাচালকদের নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু খাবার পণ্য এবং হাত ধোঁয়ার সাবান বিতরণ করে যাচ্ছেন।
ভদ্রলোকের নাম ডা. নুরুল হাসান। গত তিন দিন ধরে তিনি রাজধানীর উত্তরায় রিক্সাচালকদের চাল-ডাল-লবণ-আলু এবং সাবান বিতরণ করে যাচ্ছেন। এই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়েছে। ধন্য ধন্য করছে সবাই।
ডা. নুরুল হাসানের এমন উদ্যোগ দেখে অনেকেই এসে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। বর্তমানে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের পর সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন ডাক্তাররা। কারণ তারা সরাসরি আক্রান্ত অথবা সন্দেহভাজন রোগীর সংস্পর্শে এসে তাদের সেবা দিচ্ছেন। এর মাঝে ডা. নুরুল হাসানের এমন অনবদ্য উদ্যোগ অত্যন্ত মর্মস্পর্শী এবং প্রশংসনীয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক / নাজমুন নাহার মীম