২৩ জুন ২০২০, মঙ্গলবার
রাইয়ান আমজাদ,
কারিগরি উপদেষ্টা [ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স ফর হেলথ]
ডা. মো. রিজওয়ানুল করিম,
রোগতত্ত্ববিদ, স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই লক ডাউন তুলে নেওয়া বা শিথিল করার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। অর্থনীতির চাকা সচল রেখে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা কোন পর্যায়ে রাখতে পারলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে না, এই নিয়ে নীতি-নির্ধারক এবং বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অবিরাম সংলাপ চলছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ এড়িয়ে আমরা কী খুব শীঘ্রই পারবো স্কুল-কলেজ, অফিস বা খাবার দোকানগুলোতে ফিরে যেতে? আমাদের জীবন কি আগের দিনগুলোর মতোই চলবে?
বিশ্বের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, নীতিনির্ধারক মহল, বিজ্ঞানী এবং জনস্বাস্থ্যবিদগণ সকলেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন আবিষ্কারের অপেক্ষায় রয়েছেন। ভ্যাকসিনের উপর প্রতিনিয়ত যখন নির্ভরতা বেড়ে চলেছে, এমতাবস্থায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের সর্বশেষ সংবাদ হচ্ছে, আগামী ২০২১ সালের আগে একটি কার্যকরী ভ্যাকসিন বাজারে আসার সম্ভাবনা খুব কম। অর্থাৎ, লকডাউন তুলে নেওয়া হোক বা শিথিল করা হোক, ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য আমাদের সকলকেই একটি নতুন নিয়মের জীবনধারার সাথে অভ্যস্থ হতে হবে। শারীরিক দূরত্ব পালন করে সামাজিক সৌহার্দ্য বজায় রাখার এই নতুন সামাজিক অবস্থাকেই বলা হচ্ছে “নিউ নরমাল” বা “নতুন স্বাভাবিক অবস্থা”।
লকডাউনের অনুপস্থিতিতে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে রেখে ঠিক কীভাবে নতুন করে স্বাভাবিক জীবন শুরু করা যায়, সে ব্যাপারে জানতে আমরা বিগত কয়েক সপ্তাহের করোনাভাইরাস বিষয়ক বৈশ্বিক প্রতিবেদনগুলো বিশ্লেষণ করেছি।
“নিউ নরমাল” বা নতুন স্বাভাবিক সামাজিক জীবনে ফেরাঃ
সর্বসাধারণের মধ্যে লকডাউনের কারণে সৃষ্ট প্রবল আর্থিক সংকটের দরুন প্রতিটি দেশের সরকারই লকডাউন শিথিল করতে শুরু করেছে। শিথিলতার বিষয়ে জনস্বাস্থ্যবিদদের সতর্কবাণী থাকলেও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হলে লকডাউন শিথিল করার বিকল্প নেই। একদিকে অর্থনীতির দুরাবস্থা অন্যদিকে দীর্ঘদিন লকডাউনে থাকার কারণে মানসিক ক্লান্তি এবং উদ্বেগ এর কারনে মানুষকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউনে রাখাও কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে। মানুষ কেবলমাত্র ঘর থেকে বের হওয়া শুরু করেছে তা নয়, জনসমাগমের চেষ্টাও করছে।
বাস্তবতা হল, সাধারন মানুষের অর্থনৈতিক অনটন এবং মানসিক উদ্বেগ, ক্লান্তি এবিষয়গুলো কোভিড-১৯ এর চাইতে কম মারাত্মক নয়। করোনা রোগের ভয় এর জায়গায় তাদের মনে ঠাঁই নিয়েছে বিরক্তি আর রাগ। তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় নিউ নরমাল বা নতুন স্বাভাবিক সামাজিক অবস্থা কেমন হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেছেন বিশেষজ্ঞগণ।
বাধ্যতামুলক মাস্ক পরিধানঃ
কোভিড-১৯ মূলত ছড়ায় হাঁচি কাশির সাথে বের হওয়া অতিক্ষুদ্র কণার মাধ্যমে। কথা বলার সময়ও মুখ থেকে এই অতিক্ষুদ্র কণা বেড় হয়ে অপরকে আক্রান্ত করতে পারে। একটুকরা কাপড় মুখের সামনে থাকলে এই কণাগুলো এবং কণার সাথে মিশে থাকা করোনাভাইরাসের জীবাণু বাঁধা প্রাপ্ত হয় এবং সংক্রমণ ঘটতে বাঁধা দেয়। তাই উপসর্গহীন ব্যক্তির জন্যও মাস্কের ব্যবহার অপরিহার্য। গবেষণায় থেকে দেখা গিয়েছে, মাস্কের ব্যবহার আপনাকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিরাপদ রাখবে। তাই মাস্ক ব্যবহার করুন।
জরিমানা নয়, সচেতনতা হোক আমাদের চালিকাশক্তিঃ
সর্বসাধারণ এর জন্য সাধারন কাপড়ের মাস্ক করোনা প্রতিরোধে একটি সহজ ও বৈজ্ঞানিক সমাধান। মাস্কের সর্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশেই জনসমাগম এর জায়গাগুলোতে বা বাইরে বের হওয়ার সময় যারা মাস্ক পরেছে না, সেই সব আইন অমান্যকারীর জন্য শাস্তিমূলক জরিমানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে এ্যমর্স্টাডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালিত একটি গবেষনা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, যারা মাস্ক ব্যবহার করছে, তারা মূলত সচেতনতা থেকে মাস্ক ব্যবহার করছে, শাস্তির ভয়ে নয়। সুতরাং মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে জনগণের মধ্যে ভয় নয় বরং সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
শিক্ষালয়ের নিরাপত্তাঃ
বোষ্টন বিশ্ববিদ্যালয় এর গ্লোবাল হেলথ এন্ড মেডিসিন এর অধ্যাপক ডেভিডসন হ্যামার বলেন, “কেউ কেউ বলেছিলেন গরম আবহাওয়া, আদ্রতায় প্রকোপ কমবে, যা পরে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। মানুষ যদি এধরনের মিথ্যা নিরাপত্তাভ্রান্তি (false sense of security) তে ভোগে, তারা মাস্কও পরবে না ভীড়ও এড়িয়ে চলবে না। সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার সময় হল যখন স্কুল কলেজ খুলে যাওয়ার কথা হচ্ছে, যার ফলে বাচ্চারা সবাই ভিতরে থাকবে এবং এক সাথে থাকবে। এবং এটাই রোগটা পুনরায় ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী করবে। কোভিড-১৯ এর আর্বিভাবের পরপরই প্রতিটি দেশেই প্রথমেই স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ ঘোষনা করা হয় এবং ধারণা করা হচ্ছে যে, লকডাউন তুলে নেওয়ার একদম শেষ ধাপে স্কুল কলেজ পুনরায় খুলে দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এরমধ্যে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে অনেক স্কুলেই। শিক্ষকরা প্রাথমিকভাবে এই অনলাইন প্রযুক্তির জন্য প্রস্তুত না থাকলেও, কোভিড-১৯ এর উসিলায় অনেকেরই প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটেছে, একে অপরকে শিখতে সহযোগীতা করছেন এবং শিক্ষার্থীদেরও সেশনগুলো সময়মত শেষ হচ্ছে।
কোভিড-১৯ পূর্ববর্তী স্বাভাবিকতায় আর ফিরে যাওয়া নয়ঃ
কুইবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ‘পল কার’ এর ভাষ্যমতে করোনা মহামারি সমাজে সাম্প্রদায়িকতা, বৈষম্য, স্বার্থপরতা, দুর্নীতিপরায়নতা, পরিবেশ ধ্বংসকারী এবং লোভ-লালসাপূর্ণ চেহারা উন্মোচিত করেছে। অন্যদিকে কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের মানবিকতারও অনেক সুশিক্ষা দিয়েছে। চিকিৎসক, সেবিকা, পুলিশ, ব্যাংকার , সামাজিক সংগঠন, স্বাস্থ্যসেবাদানকারী সংগঠন, খাবার পরিবাহনকারী, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান এবং শ্রেণি পেশার মানুষ মহামারির ব্যবস্থাপনায় প্রমাণ করেছে যে, একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করলে অনেক দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব। আর তাই পিছনে ফিরে যাওয়া নয়, আমাদের জনস্বাস্থ্য বান্ধব অভ্যাসগুলো ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি এই দুর্যোগকালীন সময়ের ইতিবাচক শিক্ষাগুলোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে এবং নতুন স্বাভাবিক সামাজিক জীবনে অভ্যস্থ হতে হবে।
মৌলিক আয়ঃ
ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয় গ্রিনোবেল ই’কোল এর দুজন অধ্যাপকের মতে কোভিড-১৯ মহামারি থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন সামাজিক ব্যবস্থাপনায় অর্থনীতির একটি নতুন মাত্রা যোগ করা উচিৎ, যা তারা সার্বজনীন নিঃর্শত মৌলিক আয় (Universal Unconditional Basic Income) হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। নতুন এই পরিকল্পনাটির মাধ্যমে সকল নাগরিক তাদের সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড নির্বিশেষে সরকার হতে মাসিক নূন্যতম অর্থনৈতিক সহযোগীতা বা প্রণোদনা পাবেন। এই অর্থনৈতিক স্কিমে সাধারণ অবস্থায় নাগরিকগণ যেমন লাভবান হবেন, তেমনি মহামারির সময় এই পদ্ধতি সামাজিক নিরাপত্তার মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। ইতোমধ্যে ফিনল্যান্ডে এই স্কিমটির বাস্তবায়নের সম্ভাবতা পরীক্ষামূলক প্রকল্প চলমান।
কার্যকরি চিকিৎসার সন্ধানঃ
অন্তত ৯০টি সম্ভাবনাময় ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে পরীক্ষাধীন অবস্থায় আছে। ভাইরাল ইমিউনলোজি এক্সর্পাট জানিয়া সামাটাকি বলেছেন, খুব দ্রুত কার্যকরি সার্স কোভ-২ ভ্যাকসিন হয়ত আবিষ্কৃত হয়ে যাবে। WHO এর প্রধান বৈজ্ঞানিক সৌম্য স্বামিনাথান গত সপ্তাহে এক ব্রিফিং এ বলেন, “আগামী বছরের শেষ নাগাদ প্রায় ২ বিলিয়ন কার্যকরী ভ্যাক্সিনের সরবরাহ থাকবে। তবে সেটা সারা পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশেরও কম মানুষের জন্য প্রযোজ্য। ভবিষ্যতে যে ভ্যাকসিন গুলো আসবে হয়ত তা দীর্ঘ্য মেয়াদী ইমিউনিটি দেবে না।” ফসি একটি সাম্প্রতিক ইন্টারভিউতে বলেছেন, “যদি এটা অন্যান্য করোনা ভাইরাসের মত হয় যেগুলো ঠাণ্ডা কাশি সৃষ্টি করে, তাহলে হয়ত আমাদের প্রতি বছর এর জন্য এই টিকা’র বুস্টার শট দিতে হতে পারে।
ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পাশাপাশি কোন ব্যক্তির মধ্যে সার্স কোভ-২ এর এ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না, এই বিষয়টি খুঁজে বের করা মহামারি দমন করার জন্য জরুরি। চিকিৎসার সাথে সাথে আমাদের গুরুত্বারোপ করতে হবে, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা এবং নিজেদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতি। মানসিক স্বাস্থ্য ও প্রতিবন্ধী সেবায় আমাদের আরও মনযোগী হতে হবে।
দীর্ঘ লকডাউনের কারনে সৃষ্ট অবসাদ দূরীকরণঃ
অনেক দেশেই লকডাউন তুলে নেয়ার ফলে পুনরায় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন দেশে পুনরায় কঠোর বা শিথিল লকডাউনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়াও ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য আমাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশন, কোয়ারেন্টাইন ইত্যাদি সামাজিক বিচ্ছিন্নতার পদ্ধতিগুলো দীর্ঘদিন মেনে চলতে হবে। ইতোমধ্যেই এই নতুন সামাজিক ব্যবস্থাপনার কারনে মানুষের মনে দেখা দিয়েছে অবসাদ বা ক্লান্তি। মনোবিশেষজ্ঞদের উপদেশ অনুযায়ী কয়েকটি বিষয় পালন করলে প্রাথমিক পর্যায়ের অবসাদ নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
★মহামারীর কারনে সৃষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং অর্থনৈতিক অনিরাপত্তা আমাদের সকলের মনের উপরেই অতিরিক্ত চাপ তৈরি করেছে, যা অনেকেরই নিয়মিত ঘুমকে ব্যহত করছে। মনোবিজ্ঞানীদের মতে অন্য যেকোন সময়ের চাইতেও এই মহামারীর সময়টিতে পর্যাপ্ত ঘুম বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই ঘুমকে অবহেলা করা যাবে না।
★কোভিড-১৯ প্রতিরোধের সামাজিক ব্যবস্থাপনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নির্দয় ব্যবস্থাপনাটি হল শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। এর আবির্ভাবের প্রথম থেকেই সবচাইতে বেশি প্রচারিত সতর্কবাণী হলো করমর্দন করা যাবে না, কুলাকুলি করা যাবে না, বা এক কথায় অপরের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। ইতিবাচক স্পর্শ আমাদের শরীরে ডোপামিন, সেরোটনিন, অক্সিটোসিন নামের রাসায়নিক ও হরমোন নিঃসরণ করে এবং কর্টিসোলের নিঃসরণ কমায়, যার ফলে আমরা ইতিবাচক অনুভুতি যেমনঃ অনুপ্রেরণা, সন্তুষ্টি, নিরাপত্তা, মানসিক চাপমুক্তি ইত্যাদি অনুভুতি বোধ করে থাকি। দীর্ঘদিন সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার বিষয়টি মানুষের মধ্যে তৈরি করতে পারে মানসিক দূরত্বের, শিশুর কগনিটিভ ডেভলাপমেন্ট বাধাগ্রস্থ হবে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দিবে এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপের তৈরি করবে। মনোবিজ্ঞানীরা এর সামাধান হিসেবে জানিয়েছেন নিজের পরিবারের সদস্যদের সাথে নিরাপত্তার বিষয়গুলো বিবেচনা করে হাত মেলানো, হাই ফাইভ করতে পারেন। এছাড়াও বাগান করা , পোষা পশু পাখিকে আদর যত্ন করলেও ভালো অনুভুত হবে। যারা একা থাকেন এবং কোন পোষ্য নেই তাদের জন্য নিয়মিত ঘুম,শরীরর্চচা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা, সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখা, বাগান করা ইত্যাদি কর্মকান্ড তাদের মানসিক চাপ কমিয়ে রাখতে সাহায্য করবে।
ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপ্স রিসার্চ ট্রান্সলেশনাল ইন্সটিটিউটের ডিরেক্টর ‘এরিক টোপল’ এর মতে, “এই যে বিশাল সংখ্যক উপসর্গহীন রোগী, এটাই এরোগ প্রতিরোধে বিরাট প্রভাব ফেলেছে। এটা ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ মহামারি, ১৯১৮ তে এমন হয়নি যে অধিকাংশ লোক জানতোই না যে তারা সংক্রমিত। কাজেই এটা গোপন এবং নীরব সংক্রমণ এর মাধ্যমে ছড়িয়ে যাচ্ছে।”
জন হপকিন্সের অ্যাডালজার মতে, “এটা এমন ব্যাপার না যা খুব সহজে সংযমিত বা অদৃশ্য হয়ে যাবে। এটা খুব সুক্ষ্মভাবে সন্তপর্ণে এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে ছড়ায় এবং এটা করাই তার কাজ।”
কাজেই সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকতে হলে আমাদের নিজেদের বৈশ্বিক বাস্তবতা মেনে নতুন ভাবে জীবনযাপন ও নতুন সামাজিক ব্যবস্থায় অভ্যস্ত হতে হবে।